ইসলামের ছয়টি কলেমা — আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও গুরুত্ব

আরো পড়ুনঃ সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার – সর্বোত্তম ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া, ফজিলত, আরবি, উচ্চারণ ও অর্থ

ইসলামের ৬টি কলেমা সম্পর্কে জানুন—আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলতসহ বিস্তারিত। ঈমানের মূল ভিত্তি এই কলেমাসমূহ মুসলমানদের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা জানুন আজকের লেখায়।

ইসলামের ছয়টি কলেমা  অর্থ, আরবি, উচ্চারণ, গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলামে 'কমেমা' বলতে মৌলিক বিশ্বাসের প্রকাশ বা ঘোষণাকে বোঝায় এটি একটি আরবি শব্দ, যার যার বাংলা অর্থ 'কথা' বা 'বাক্য। ইসলামে, কলমাগুলি হল ইসলামের প্রথম স্তম্ভ 'শাহাদা' বা বিশ্বাসের ঘোষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  

ইসলামের "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" খুবই তাৎপর্যবাহী বাক্য। যার মানে দাঁড়ায়, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মহাম্মদ আল্লাহর রাসূল - এই শব্দগুলি বিশ্বজুড়ে সকল ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র শব্দ।

ইসলাম ধর্মে কলেমা বা বিশ্বাসের এই ঘোষণা নবজাতকের কানে ফিসফিসিয়ে বলা হয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় তা পুনরাবৃত্তি করা হয় এবং মৃত্যুর সময় একজন ধর্মবিশ্বাসীর ঠোঁটে এই বাক্যগুলি থাকার আশা করা হয়। 

এটি এক আল্লাহ বা ঈশ্বর এবং তাঁর শেষ বার্তাবাহক, নবী মহাম্মদের প্রতি বিশ্বাসের ঘোষণা। ইসলামে ছয়'টি কালেমা রয়েছে। আজকে আমরা ইসলামের এই কলেমা সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে আমরা নিচে দেখে নেই কলেমা সম্পর্কে-

কালিমায়ে তাইয়্যেবা

কালিমায়ে তাইয়্যেবা আরবি 

لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ

কালিমায়ে তাইয়্যেবা বাংলা উচ্চারণ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’

কালিমায়ে তাইয়্যেবা বাংলা অর্থ 

আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহর রাসুল।

কালিমায়ে শাহাদাত

কালিমায়ে শাহাদাত আরবি

أشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

কালিমায়ে শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ

‘আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু’

কালিমায়ে শাহাদাত বাংলা অর্থ

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তার কোন অংশীদার নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল।

কালিমায়ে তাওহীদ

কালিমায়ে তাওহীদ আরবি

 لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

কালিমায়ে তাওহীদ বাংলা উচ্চারণ

‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহিদাল লা ছানিয়া লাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাক্বীনা রাসুলু রাব্বিল আলামীন।

কালিমায়ে তাওহীদ বাংলা অর্থ

তুমি (আল্লাহ) ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তুমি এক, তোমার দ্বিতীয় কেহ নেই। আল্লাহর রাসুল (সা.) আল্লাহভীরুদের নেতা ও বিশ্বপ্রতিপালকের রাসূল।

কালিমায়ে তামযীদ

কালিমায়ে তামযীদ আরবি

لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، نُورٌ، يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ، مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، إِمَامُ الْمُرْسَلِينَ وَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ۔

কালিমায়ে তামযীদ বাংলা উচ্চারণ

“লা ইলাহা ইল্লা আনতা নূ-রাই ইহায়দিয়াল্লাহু লিনূরিহী মাই-ইয়াশাউ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুরসালীনা ওয়া খাতামান নাবিয়্যীন।”

কালিমায়ে তামযীদ বাংলা অর্থ

তুমি (আল্লাহ) ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তুমি জ্যোতির্ময়, যাকে ইচ্ছা হয় তাকেই তোমার নূর দ্বারা পথ প্রদর্শণ কর। মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, রাসুলগণের নেতা এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ নবী।

ঈমানে মুজমাল

ঈমানে মুজমাল আরবি

امَنْتُ بِاللهِ كَمَا هُوَ بِاَسْمَائِه وَصِفَاتِه وَقَبِلْتُ جَمِيْعَ اَحْكَامِه وَاَرْكَانِه

ঈমানে মুজমাল বাংলা উচ্চারণ

“আ-মানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বিআসমায়িহি ওয়া সিফ জামিয়া’ আহকা-মিহি ওয়া আরকানিহী’

আরো পড়ুনঃ ঘুমের আগে চার ‘কুল’ ও আয়াতুন কুরসি পড়ার ফজিলত

ঈমানে মুজমাল বাংলা অর্থ

আমি আল্লাহ তায়ালার প্রতি তাঁর সমুদয় নামের সহিত ও তাঁহার যাবতীয় গুণাবলীর সহিত ঈমান আনলাম। আর তাঁর যাবতীয় আদেশ ও বিধি-বিধান মেনে নিলাম।

ঈমান মুফাছছাল

ঈমান মুফাসসাল আরবি

امنت بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالى والبعث بعد الموت

ঈমান মুফাসসাল বাংলা উচ্চারণ

“আ-মানতু বিল্লাহি ওয়ামালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি ওয়াল ক্বাদরি খায়রিহী ওয়া শাররিহী মিনাল্লা-হি তায়ালা ওয়াল বা’ছি বা’দাল মাওত।”

ঈমান মুফাসসাল বাংলা অর্থ

আমি বিশ্বাস করলাম আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, তাঁর আসমানী কিতাব সমূহের উপর, তাঁর রাসুলগণের উপর, পরকালের উপর এবং তাকদীরের ভাল- মন্দের উপর, যা আল্লাহ পাকের নিকট হতে হয়ে থাকে এবং মৃত্যুর পর পূনরায় জীবিত হওয়ার উপর।

উপরের ছয়'টি কালেমা ইসলাম বিশ্বাসের মূল কেন্দ্রবিন্দু। এগুলি মুসলমানদের আল্লাহর একত্ব, নবীর গুরুত্ব, ক্ষমা প্রার্থনা এবং পাপ থেকে দূরে থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। এগুলি পাঠ করা মুসলমানদের চিন্তাভাবনা, অনুতাপ এবং তাদের আনুগত্যকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

ইসলামে কালেমা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ইসলামের মূলভিত্তি বা স্তম্ভ পাঁচটি। এর মধ্যে কালেমা হলো সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটা ইলম অর্জনের পর প্রথম ফরজ, কালেমার মাধ্যমে মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে। কালেমা ঠিক না থাকলে ঐ ব্যক্তির ইমান এবং ইসলাম কোনোটিই গৃহীত হয় না। 

এ কারণে, নবী কারিম (সা.) কালেমাকে সর্বাগ্রে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল এবং নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ পালন করা এবং রমজানের রোজা রাখা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম হলো, তুমি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই। আর মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, রমজানের রোজা পালন করবে এবং সামর্থ্য থাকলে বাইতুল্লাহর হজ আদায় করবে।’

মহান আল্লাহ তা'য়ালা ইসলামের রোকনগুলোর মধ্যে প্রথমে শুধুমাত্র কালেমা ফরজ করেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর নবুয়তি জীবনের ২৩ বছরের মধ্যে, প্রথম ১২ বছরই ব্যয় করেছেন এ ফরজের জ্ঞান প্রচারের জন্য। এই ১২ বছরে ইসলামের অন্য কোনো রোকন ফরজ হয়নি। 

এ সময়কালে কালেমা তথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললে জান্নাতে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হতো। এ কালেমায় আছে ইহ ও পরকালীন সফলতা, বিশ্বের  নেতৃত্ব ও কর্র্তৃত্ব লাভের মূলমন্ত্র। যেমন নবী কারিম (সা.) বলতেন, ‘তোমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলো, সফলকাম হবে।’ 

তিনি আরও বলতেন, ‘আপনারা শুধুমাত্র একটি কালেমা (কালিমাতুন ওয়াহেদা) মেনে নিন, যার বদৌলতে আপনারা হয়ে যাবেন, আরবের সম্রাট এবং অনারব হয়ে যাবে আপনাদের অধীনস্ত।’

কালেমায় থাকা প্রচলিত শব্দগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত হলো 
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। 
  • আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ। অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।
  • আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। অর্থ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তার কোনো অংশীদার নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল।

কালেমার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামে কালেমার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। ইসলামের দৃষ্টিতে কালেমার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে সংখেপে নিচে আলোচনা করা হলো-

** সর্বোত্তম জিকির- হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম জিকির হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং উত্তম দোয়া হলো- আলহামদুলিল্লাহ।’ (জামে তিরমিজি- ৩৩৮৩)

** আমলের পাল্লায় অধিক ভারী- হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি সপ্তাকাশ ও তাতে অবস্থিত সব কিছু ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুকে এক পাল্লায় রাখা হয়, তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- এর পাল্লা অধিক ভারী হয়ে যাবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান)

** শাফায়াত লাভ- হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভে ওই ব্যক্তি অধিক ভাগ্যবান হবে, যে ব্যক্তি স্বীয় অন্তরে নিষ্ঠার সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। (সহিহ বোখারি- ৯৯, ৬৫৭০)

** জান্নাত লাভ- রাসুলে পাক (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে এবং এর ওপর মৃত্যুবরণ করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ বোখারি- ৫৮২৭)

** জাহান্নাম  থেকে মুক্তি- রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। তার জন্য আল্লাহ তা'য়ালা জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম- ২৯/৪৭)

** জান্নাতের আটটি দরজা উন্মুক্ত- হজরত রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কোনো ব্যক্তি যদি পূর্ণাঙ্গরূপে অজু করে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু বলে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হবে, সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ- ১৬৯)

** সর্বোত্তম দোয়া ও বাণী- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম দোয়া হলো-আরাফার দিনের দোয়া। আর আমি ও আমার আগের নবীরা যত কথা বলেছি সবচেয়ে উত্তম কথা হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (জামে তিরমিজি- ৩৫৮৫)

** অফুরন্ত সওয়াব লাভ- হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশকালে বলবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহই ওয়া ইয়ুমিতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুতু, বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির, আল্লাহ তা'য়ালা তার আমলনামায় দশ লাখ নেকি লেখেন এবং দশ লাখ গোনাহ মোচন করেন এবং দশ লাখ মর্যাদার স্তর বৃদ্ধি করেন এবং জান্নাতে তার জন্য বিশেষ বাড়ি নির্মাণ করবেন।’ (জামে তিরমিজি- ৩৪২৯)

একটি বাস্তব ঘটনা — কলেমা পাঠ করে বেঁচে যাওয়ার সাক্ষ্য

আসামের একজন অধ্যাপক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, যিনি একবারর তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে পাহেলগাঁও গিয়েছিলেন, তিনিই দাবি করেছেন যে- জঙ্গিদের বন্দুকের নলের সামনে কলমা পাঠ করায় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।

যখন গুলির শব্দে মুখোরিত হয়ে উঠে চারদিক, তখন অন্যরা পবিত্র শ্লোক পাঠ করায় ব্যস্ত ছিলেন, তা দেখে তিনিও তাতে যোগ দিয়েছিলেন। এতে কাজ হয়, প্রাণে বেঁচে যান অধ্যাপক ভট্টাচার্য।

দেবাশিস বাবু আরো বলেছেন, "আমার চারপাশের সবাই ('কলমা') পড়ছিলেন, আমিও তা পাঠ করতে থাকি। এক জঙ্গি আমার মাথার দিকে বন্দুক তাক করেছিল, আমি যা বলছি তা শুনতে পেয়ে সে চলে যায়। আমি কেবল 'লা ইলাহি...' পাঠ করছিলাম যা সবাই করছিল।"

শেষকথা - কেন প্রতিদিন কলেমা পাঠ করা উচিত?

প্রতিদিন কলেমা পাঠ করা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, এটি ঈমানের মৌলিক ঘোষণা। তাছাড়া, কলেমা পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও রাসুল (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত হয়, যা অন্তরকে শুদ্ধ করে ও পাপ মোচনে সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ সুন্নাহ অনুযায়ী দৈনন্দিন রুটিন – সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নবীর (সা.) জীবনধারা

নিয়মিত কলেমা পাঠে অন্তরকে আলোকিত করে, মৃত্যু কালে কলেমা স্মরণ সহজ হয় এবং জান্নাতের পথ সুগম হয়। মহান আল্লাহ পাক জেন আমাদের সকল মুসলিমদেরকে শুদ্ধভাবে কলেমার আমল করার তৌফিক দান করেন আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url