ওমান কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, চাহিদা সম্পন্ন কাজ ও বেতন
আরো পড়ুনঃ আমেরিকা ভিসার ধরণ ও খরচ ২০২৫ - গ্রিন কার্ড, B1/B2, F1/M1 ও অন্যান্য ভিসার ফি
ওমান কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইড। ভিসার ধরণ, সরকারি ও অতিরিক্ত খরচ, বেতন, জনপ্রিয় কোম্পানি, চাহিদাসম্পন্ন কাজ, সুবিধা-অসুবিধা, ভিসা পাওয়ার উপায় এবং দালাল প্রতারণা থেকে বাঁচার কৌশলসহ বিস্তারিত তথ্য।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ওমান ভিসা প্রক্রিয়া সহজে বোঝার জন্য সম্যক নির্দেশিকা। তাই, আপনারা যারা, কোম্পানি ভিসা নিয়ে ওমান যেতে চান, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে এটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন।
ওমান কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫ – সম্পূর্ণ বাংলা গাইড
প্রক্রিয়াটি সাধারণত সরকারি চ্যানেল কিংবা অনুমোদিত যে কোন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে করা যায়। যদিও অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে, ভিসার জন্য সরকারি ফি, মেডিকেল টেস্ট, বিমান টিকিট ও অন্যান্য খরচ থাকতে পারে।
তাই, সঠিক প্রস্তুতি, বিশ্বস্ত এজেন্সি নির্বাচন এবং দালাল প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। এই প্রবন্ধে আমরা মূলত ওমান কোম্পানি ভিসার ধরণ, খরচ, বেতন, চাহিদাসম্পন্ন কাজ, জনপ্রিয় কোম্পানি এবং ভিসা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি।
ওমান কোম্পানি ভিসা কী?
ওমান কোম্পানি ভিসা হলো এমন এক ধরনের ওয়ার্ক পারমিট, যা ওমানের কোনো প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মীকে বৈধভাবে চাকরির জন্য প্রদান করে। এই ভিসার মাধ্যমে প্রাপক নির্দিষ্ট কোম্পানিতে পূর্ণকালীন কাজ করতে পারেন এবং সেখানে থেকে বেতন, আবাসন, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান।
এই ভিসার জন্য সাধারণত নিয়োগকর্তাই আবেদন ও স্পনসরশিপের দায়িত্ব নেয়। আবেদন করার জন্য পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, চাকরির অফার লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ওমান কোম্পানি ভিসা পেলে আবেদনকারি বৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে কাজ ও বসবাস করতে পারেন।
ওমান কোম্পানী ভিসার ধরণ
বর্তমানে ওমান সরকার সেই দেশে যে কোন বিদেশি করমীদের জন্য, মূলত কোম্পানি ভিসার প্রধানত দুইটি ধরণ রয়েছে। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
*** প্রফেশনাল ভিসা (Professional Visa)- এই ভিসাটি মূলত ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, টেকনিশিয়ান কিংবা বিশেষজ্ঞ পেশার জন্য কোম্পানির স্পনসরে ইস্যু করা হয়।
২০২৫ সালে ওমান কোম্পানি ভিসার খরচ
ওমান কোম্পানি ভিসার খরচ সাধারণত কোম্পানির ধরন, পদের ধরন এবং এজেন্সির উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। নিচে আনুমানিক খরচ দেওয়া হলো-
ওমান কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ | ||
নম্বর | ভিসার ধরন | খরচ (আনুমানিক) |
১ | সাধারণ শ্রমিক ভিসা | ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা |
২ | ড্রাইভার/হেলপার ভিসা | ১,৮০,০০০ থেকে ২,৩০,০০০ টাকা |
৩ | টেকনিক্যাল বা দক্ষ কর্মী ভিসা | ২,০০,০০০ থেকে ২,৮০,০০০ টাকা |
৪ | সুপারভাইজার/অফিস স্টাফ | ২,৫০,০০০ থেকে৩,৫০,০০০ টাকা |
কিছু কোম্পানি “ফ্রি ভিসা” অফার করে, যেখানে তারা নিজেই সব খরচ বহন করে। তবে, এই ধরনের ভিসা সাধারণত প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়।
ওমান কোম্পানী ভিসার অতিরিক্ত খরচ
ওমান কোম্পানি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ফি ছাড়াও আরও কিছু অতিরিক্ত খরচ থাকে, আর এই খরচগুলো সাধারণত ভিসা প্রার্থীকে বহন করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো-
- এয়ার টিকিট- বাংলাদেশ থেকে ওমান পর্যন্ত বিমানের ভাড়া প্রায় ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- মেডিকেল টেস্ট- ভিসা অনুমোদনের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রায় ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা।
- ডকুমেন্ট অনুবাদ ও সত্যায়ন- প্রায় ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
- ওমান রেসিডেন্স কার্ড ও ইন্স্যুরেন্স ফি- প্রায় ৩০ থেকে ৫০ OMR।
তবে, সবকিছু মিলিয়ে অতিরিক্ত খরচ প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা মূলত এজেন্সি ও সেবার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়।
ওমান কোম্পানী ভিসার সরকারি খরচ
সাধারণত কোম্পানিই ভিসার সব ফি বহন করে থাকে। তবে, সরকারি ফি প্রায় ৫০ থেকে ৭০ ওমানি রিয়াল (OMR) (যা, বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১৫ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা) হতে পারে। তবে, মেডিকেল, ইন্স্যুরেন্স, ও আইডি কার্ড ফি যুক্ত হলে মোট খরচ প্রায় ৮০ থেকে ১০০ OMR পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ওমান কোম্পানি ভিসার বেতন কত
ওমান কোম্পানি ভিসার বেতন অন্যান্য দেশের ন্যায় কাজের ধরন, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কোম্পানির নীতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। তবে, সাধারণত অদক্ষ শ্রমিক যেমন ক্লিনার, লোডার বা হেলপারদের মাসিক বেতন ১০০ থেকে ১৫০ ওমানি রিয়াল (OMR) (যা, প্রায় ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা)।
আর দক্ষ শ্রমিক যেমন ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডার বা মেশিন অপারেটররা মাসে ১৫০ থেকে ২৫০ OMR (যা, প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা) পর্যন্ত পান। আর পেশাদার পদ যেমন ইঞ্জিনিয়ার, সুপারভাইজার, একাউন্টেন্ট বা অফিস স্টাফদের বেতন সাধারণত ৩০০ OMR বা তার বেশি হতে পারে।
আবার অনেক কোম্পানি কর্মীদের বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে আবাসন, চিকিৎসা, পরিবহন ও খাওয়া-দাওয়ার সুবিধাও প্রদান করে, যা মোট আয়ের মান বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওভারটাইমের সুযোগ থাকলে মাসিক আয় আরও ২০ থেকে ৩০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
তবে, সব মিলিয়ে ওমান কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে স্থিতিশীল আয় ও ভালো জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া কি কি ভিসা পাওয়া যায় - রোমানিয়া কোন ভিসার খরচ কত
ওমানের জনপ্রিয় কোম্পানির নাম
ওমান মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে বিভিন্ন খাতে অসংখ্য নামী-দামী কোম্পানি বিদেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিচে ওমানের কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হলো –
- Petroleum Development Oman (PDO)- দেশের সবচেয়ে বড় তেল ও গ্যাস কোম্পানি, যেখানে প্রচুর প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান কাজ করেন।
- Oman Oil Company- জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
- Galfar Engineering & Contracting- নির্মাণ, অবকাঠামো ও প্রকৌশল খাতে অন্যতম বৃহৎ নিয়োগদাতা।
- Bahwan Engineering Company- ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও বিল্ডিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
- Carillion Alawi LLC- নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে সক্রিয় একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি।
- Oman Air: জাতীয় বিমান সংস্থা, যেখানে এয়ারপোর্ট সার্ভিস ও কেবিন ক্রু নিয়োগ দেয়।
- Larsen & Toubro Oman- অবকাঠামো ও শিল্প প্রকল্পে কাজের সুযোগ দেয়।
এছাড়াও Daleel Petroleum, Al Hassan Engineering, Renaissance Services ইত্যাদি কোম্পানিতেও প্রচুর বিদেশি কর্মী নিয়োগ পায়। আর এসব প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্থিতিশীল বেতন ও ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ দেয়।
ওমান কোম্পানী ভিসা পাওয়ার উপায় (সরকারি ও বেসরকারি)
ওমান কোম্পানি ভিসা পাওয়ার জন্য বর্তমানে দুটি প্রধান উপায় খোলা রয়েছে, যেমন- সরকারি চ্যানেল ও বেসরকারি/ এজেন্সির মাধ্যমে। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো
সরকারিভাবে ওমান যাওয়ার উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ওমান সরকারের অনুমোদিত ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট ব্যুরো (BOESL) বা জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে কোম্পানি ভিসার জন্য সেখানে আবেদন করা যায়।
আর এই প্রক্রিয়ায় সবকিছু সরকারি তত্ত্বাবধানে হয়, ফলে প্রতারণার ঝুঁকি কম এবং খরচও তুলনামূলক কম হয়। আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মেডিকেল রিপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হয়।
বেসরকারিভাবে ওমান যাওয়ার উপায়
অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বা ম্যানপাওয়ার কোম্পানির মাধ্যমে ওমান কোম্পানি ভিসা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে এজেন্সি নির্দিষ্ট ফি নিয়ে ভিসা প্রসেসিং, চুক্তি ও টিকিটের ব্যবস্থা করে দেয়। তবে, সবসময় সরকারি অনুমোদনপত্র যাচাই করা জরুরি।
তবে, উপরে উল্লেখিত দুই ক্ষেত্রেই ভিসা ইস্যুর আগে চাকরির অফার লেটার, মেডিকেল, পাসপোর্ট জমা ও ওমান দূতাবাসের ভিসা স্ট্যাম্পিং সম্পন্ন করতে হয়। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ওমান কোম্পানি ভিসা পাওয়া সহজ ও নিরাপদ।
ওমানে অধিক চাহিদাসম্পন্ন কাজ কী?
ওমানের দ্রুত শিল্পায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন খাতে বিদেশি শ্রমিকদের চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বিশেষ করে সেখানে, নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে (মেসন, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, পেইন্টার) অদক্ষ ও দক্ষ শ্রমিকদের প্রচুর প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও, ড্রাইভার, হেলপার ও ক্লিনার পদে নিয়মিত নিয়োগ দেওয়া হয়। তেল-গ্যাস শিল্পে টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার ও মেশিন অপারেটরদের চাহিদা অনেক বেশি। একইভাবে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতে ওয়েটার, কুক, হাউজকিপার এবং রিসেপশনিস্ট পদে বিদেশিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাছাড়া, স্বাস্থ্য খাতে নার্স, ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং লজিস্টিকস ও ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে ড্রাইভার ও ডেলিভারি কর্মীরও বড় চাহিদা রয়েছে।
তাই, সব কিছু মিলিয়ে বলা জায় যে,, ওমানে নির্মাণ, গৃহসেবা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্য ও তেল-গ্যাস খাতের কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন, যেখানে বাংলাদেশি কর্মীরা সহজেই চাকরির সুযোগ পেতে পারেন।
ওমানের কোম্পানী ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা
বরতমান সময়ে ওমান কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে গেলে যেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে, তেমনিভাবে সেখানে কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে ওমান কোম্পানী ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
ওমান কোম্পানী ভিসার সুবিধা
কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যদি কোন প্রার্থী বৈধভাবে ওমানে প্রবেশ ও কাজ করতে পারেন। তাহলে সে, বেতনের পাশাপাশি অনেক কোম্পানি ফ্রি আবাসন, খাওয়া-দাওয়া, পরিবহন ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে। এছাড়া স্থিতিশীল কাজের সুযোগ, ওভারটাইম সুবিধা এবং দীর্ঘমেয়াদি কাজের অভিজ্ঞতা পেলে ক্যারিয়ার উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকে।
ওমান কোম্পানী ভিসার অসুবিধা
ভিসা কোম্পানির স্পনসরশিপের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় কর্মী সহজে চাকরি পরিবর্তন করতে পারে না। কিছু ক্ষেত্রে বেতন বা সুবিধার ক্ষেত্রে কোম্পানির শর্ত কঠোর হতে পারে। এছাড়াও, প্রাথমিক খরচ যেমন- মেডিকেল, বিমান টিকিট, ডকুমেন্টেশন, উচ্চ হতে পারে।
যদি ভিসা প্রক্রিয়ায় দালাল বা অননুমোদিত এজেন্সি ব্যবহার করা হয়, প্রতারণার ঝুঁকিও থাকে। তবে, সঠিক প্রক্রিয়া ও বিশ্বস্ত কোম্পানি বেছে নিলে সুবিধা বেশি এবং অসুবিধা তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়।
ওমানের ভিসা পেতে দালালের প্রতারণা থেকে বাচার টিপস
ওমানের ভিসা নিতে গিয়ে অনেকেই এখন দালালের প্রতারণার শিকার হন, তাই সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। তবে, নিচের টিপসগুলো মেনে চললে আপনি অনেকটা নিরাপদে থাকতে পারেন। যেমন-
- চাকরির অফার লেটার ও ভিসা কপির সত্যতা দূতাবাস বা সরকারি ওয়েবসাইটে যাচাই করুন।
- সর্বদা সরকারি অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বা BOESL এর মাধ্যমে আবেদন করুন।
- কোনো দালালকে অগ্রিম বড় অঙ্কের টাকা দেবেন না এবং লেনদেনের রশিদ রাখুন।
- সাক্ষাৎকার বা মেডিকেল ছাড়াই দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রলোভনে পড়বেন না।
- পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত নথি কখনোই অচেনা কারো হাতে দেবেন না।
উপরে উল্লেখিত সতর্কতাগুলো অনুসরণ করলে আপনি ওমানসহ যে কোন ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রতারণা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
অমান ভিসা খরচ কমানোর টিপস
ওমান ভিসার বিভিন্ন ধরণের খরচ অনেকের জন্য বড় বোঝা হতে পারে। তবে, নিচে উল্লাখিত কিছু কৌশল মানলে খরচ কমানো সম্ভব। যেমন-
- সরাসরি সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করুন- অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বা BOESL-এর মাধ্যমে আবেদন করলে দালাল ফি বাঁচে।
- প্যাকেজের তুলনা করুন- বিভিন্ন এজেন্সির খরচ ও সুবিধা যাচাই করে সস্তা ও মানসম্মত প্যাকেজ নির্বাচন করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকে প্রস্তুত করুন- পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট ও শিক্ষাগত সনদ ঠিকভাবে থাকলে অতিরিক্ত ফি এড়ানো যায়।
- অগ্রিম বড় অঙ্কের টাকা দেবেন না- দালাল বা এজেন্টকে অযাচিত ফি দিলে খরচ বাড়ে।
- বিমানের টিকিট সাশ্রয়ী সময়ে বুক করুন- অফ-সিজন বা প্রোমোশনাল ফ্লাইটে খরচ কম হয়।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে ওমান কোম্পানি ভিসার মোট খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
শেষকথা- ওমান কোম্পানী ভিসা খরচের আপডেট ২০২৫
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কী কী ভিসা পাওয়া যায়?। সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ ও বেতন কত?
তবে, কর্মীরা কোম্পানির শর্ত এবং স্পনসরশিপের নিয়ম মানতে বাধ্য। তাই, সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং সব নথি প্রস্তুত থাকলে ভিসা পাওয়া অনেক সহজ হয়। তাই, ওমানের চাহিদাসম্পন্ন খাতে দক্ষতা অনুযায়ী আবেদন করলে সফলভাবে বৈধভাবে কাজ এবং উন্নত জীবনযাপন করা সম্ভব।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url