সিঙ্গাপুর কী কী ভিসা পাওয়া যায়?। সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ ও বেতন কত?

আরো পড়ুনঃ অস্ট্রিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা ও খরচ

সিঙ্গাপুর ভিসার পূর্ণ গাইড ২০২৫ – কাজ, শিক্ষার্থী, ট্যুরিস্ট থেকে PR পর্যন্ত সব ভিসার ধরন, আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ, ন্যূনতম বেতন, যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জানুন একসাথে। যারা সিঙ্গাপুরে চাকরি বা পড়াশোনার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা নির্দেশিকা।

পাঠকা পাঠিকাগণ, আপনারা যারা সিঙ্গাপুরের ভিসার ধরণ ২০২৫ এবং ভিসার খরচ সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এটি সময় করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন

সিঙ্গাপুর ভিসার ধরণ, ভিসা খরচ ও বেতন - বিস্তারিত গাইড

এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশ সিঙ্গাপুর তার শক্তিশালী অর্থনীতি, আধুনিক অবকাঠামো ও উচ্চমানের জীবনযাত্রার জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিক্ষা, চাকরি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর লাখো মানুষ এই দেশে যেতে আগ্রহী। 

তবে, সফলভাবে সিঙ্গাপুরে পা রাখতে হলে আপনার প্রথম ধাপ হলো সঠিক ভিসা সম্পর্কে জানা। কাজের জন্য এমপ্লয়মেন্ট পাস থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট পাস, এমনকি স্থায়ী বসবাসের জন্য PR পর্যন্ত নানা ধরণের ভিসা রয়েছে। 

আর প্রতিটি ভিসার আলাদা যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ ও ন্যূনতম বেতনের শর্ত রয়েছে। এই গাইডে আমরা একে একে সব ধরণের ভিসা, আবেদন ধাপ, খরচ ও আনুমানিক বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

সিঙ্গাপুর ভিসা কী এবং কেন প্রয়োজন?

সিঙ্গাপুর ভিসা হলো একটি সরকারি অনুমতিপত্র, যা বিদেশি নাগরিকদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সিঙ্গাপুরে প্রবেশ, বসবাস, কাজ, পড়াশোনা বা ব্যবসা করার বৈধ অধিকার প্রদান করে। তবে, প্রতিটি ভিসা নির্ধারণ করে আবেদনকারী কতদিন থাকতে পারবেন, কী ধরনের কাজ বা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন এবং কোন শর্তগুলো মানতে হবে। 

সেকারণে, সঠিক ভিসা ছাড়া সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা, চাকরি করা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া আইনত অপরাধ, যার ফলে জরিমানা, বহিষ্কার বা ভবিষ্যতে প্রবেশ নিষিদ্ধের মতো শাস্তি হতে পারে। 

তাই, ভ্রমণ, পড়াশোনা, চাকরি কিংবা স্থায়ী বসবাস,  যেকোনো উদ্দেশ্যেই হোক আগে সঠিক ভিসার ধরণ সম্পর্কে জানা এবং তার ভিত্তিতে আবেদন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি শুধু আপনার নিরাপদ ও বৈধ অবস্থান নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদে থাকার পথও সহজ করে তোলে।

সিঙ্গাপুরের জনপ্রিয় ভিসার ধরনসমূহ

সিঙ্গাপুর সরকার সেই দেশে ভ্রমণ, চাকরি, পড়াশোনা বা ব্যবসার উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে, যার প্রতিটির উদ্দেশ্য ও শর্ত আলাদা। তবে, সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে প্রচলিত ভিসাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • Employment Pass (EP) – উচ্চ দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য।
  • S Pass – মাঝারি দক্ষ কর্মীদের জন্য এবং
  • Work Permit – সাধারণ শ্রমিক বা গৃহকর্মীদের জন্য।
তাছাড়া-
  • শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে Student Pass।
  • উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য Business/EntrePass এবং
  • পরিবারের সদস্যদের জন্য Dependant Pass। 

এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে থাকতে চাইলে আবেদন করা যায় Permanent Residence (PR) এর জন্য। আর প্রতিটি ভিসার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা, ডকুমেন্ট ও আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তাই, সঠিক ভিসা নির্বাচন সিঙ্গাপুরে বৈধ অবস্থানের মূল চাবিকাঠি।

Employment Pass (EP) – পেশাদার চাকরিজীবীদের জন্য

Employment Pass (EP) হলো সিঙ্গাপুর সরকারের প্রদত্ত একটি বিশেষ ভিসা, যা উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী, বিশেষজ্ঞ বা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের চাকরিপ্রার্থীদের এই পাসের জন্য যোগ্য হতে হয়। 

এখানে আবেদন করতে হলে প্রথমে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির অফার থাকতে হবে এবং বেতনের নির্দিষ্ট মান পূরণ করতে হবে। ২০২৫ সালে EP-এর জন্য ন্যূনতম মাসিক বেতন সাধারণত SGD 5,000 থেকে 6,000 এর মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে।

তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বা পদের ওপর নির্ভর করে তা আরও বেশি হতে পারে। এই পাসের মাধ্যমে ভিসা ধারক বৈধভাবে কাজ করতে পারেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এমনকি তিনি তার পরিবারকেও সঙ্গে নেওয়ার সুযোগ পান।

S Pass – দক্ষ কর্মীদের জন্য

S Pass হলো সিঙ্গাপুরের একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ক ভিসা, যা মূলত মাঝারি পর্যায়ের দক্ষ কর্মীদের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এই পাসের মাধ্যমে সেখানে গিয়ে প্রযুক্তি, উৎপাদন, সেবা বা ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিদেশি কর্মীরা বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পান। 

তবে, আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কিছু অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। পাশাপাশি চাকরির অফার থাকতে হবে এবং বেতনের শর্ত পূরণ করতে হবে। 

২০২৫ সালে S Pass-এর জন্য ন্যূনতম মাসিক বেতন সাধারণত SGD 3,150 থেকে 4,000 এর মধ্যে। এই পাসের মাধ্যমে ভিসা ধারক স্থায়ীভাবে চাকরি করতে পারেন, এবং নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে পরিবারকেও সঙ্গী হিসেবে নিয়ে আসার সুযোগ পান।

Work Permit – সাধারণ শ্রমিক ও নির্মাণকর্মীদের জন্য

Work Permit হলো সিঙ্গাপুর সরকারের একটি কর্ম ভিসা, যা মূলত অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রদান করা হয়। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা তুলনামূলক কম হলেও নির্মাণ, উৎপাদন, জাহাজ নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি বা গৃহকর্ম খাতে কাজ করার জন্য এই পাসের মাধ্যমে বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ ও চাকরি করা যায়। 

আবেদন করার জন্য সাধারণত নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে স্পনসর থাকতে হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক অনেক সহজ। ২০২৫ সালে এই পাসের আওতায় মাসিক বেতন সাধারণত SGD 1,000 থেকে 2,000 এর মধ্যে থাকে, যা কাজের ধরণ ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। 

এই ভিসার জন্য আবেদন ফি ও প্রক্রিয়াকরণ খরচও অন্যান্য পাসের তুলনায় কম হওয়ায় এটি বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর ভিসা ক্যাটাগরিগুলোর একটি।

আরো পড়ুনঃ ইতালি ভিসা ২০২৫ - প্রকার, খরচ ও আবেদনের বিস্তারিত তথ্য

 Student Pass – পড়াশোনার উদ্দেশ্যে

Student Pass হলো সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক এমন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য ভিসা প্রক্রিয়া। এটি ছাড়া কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী সেখানে স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বা ক্লাসে অংশ নেওয়া আইনতভাবে সম্ভব নয়। 

আর আবেদন করার আগে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের সরকার অনুমোদিত কোনো স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। এরপর অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন জমা দিতে হয়। আবেদন ফি সাধারণত SGD 60 থেকে 90 এর মধ্যে হয়। 

এই পাসের বিশেষ সুবিধা হলো, পড়াশোনার পাশাপাশি ভিসাধারি স্টুডেন্ট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পার্ট-টাইম কাজ করার সুযোগ পায়, যা তার জীবনযাপনের খরচ মেটাতে অনেক সহায়তা করে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জনের সুযোগ দেয়।

Business/EntrePass – উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য

Business Pass বা EntrePass হলো সিঙ্গাপুরে ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক এমন বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত একটি বিশেষ ভিসা। তাই, আপনি যদি সিঙ্গাপুরে নিজস্ব কোম্পানি, স্টার্টআপ বা নতুন কোনো উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করতে চান, তাহলে এই পাসের মাধ্যমে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। 

তবে, এরজন্য আবেদন করার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা (Business Plan) জমা দিতে হয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগের সক্ষমতা থাকতে হয়। এছাড়াও, কোম্পানিটি সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান বা উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। 

আবেদন ফি সাধারণত SGD 70 থেকে 150 এর মধ্যে। আবেদনকারির সফলভাবে EntrePass পেলে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ ও ভবিষ্যতে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করাও সহজ হয়।

Dependant Pass – পরিবার নিয়ে বসবাসের সুযোগ

Dependant Pass হলো এমন একটি ভিসা যা, Employment Pass (EP) বা S Pass ধারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আবেদন করতে পারেন। এতে সাধারণত স্ত্রী/ স্বামী এবং ২১ বছরের নিচের অবিবাহিত সন্তানদের এই পাসের আওতায় সিঙ্গাপুরে নিয়ে আসা যায়। 

এর মাধ্যমে পরিবারও বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে বসবাস, শিক্ষা গ্রহণ এবং দৈনন্দিন জীবনের সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারে। আবেদন করতে মূল পাসধারীর নির্দিষ্ট আয়ের মান পূরণ করতে হয়, সাধারণত মাসিক বেতন SGD 6,000 বা তার বেশি হলে Dependant Pass-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যায়। 

এই পাস পাওয়ার পর আবেদনকারির পরিবারের সদস্যরাও নির্দিষ্ট শর্তে কাজ বা ব্যবসার সুযোগ পেতে পারেন এবং ভবিষ্যতে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করাও অনেক সহজ হয়।

Permanent Residence (PR) – স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

Permanent Residence (PR) হলো সিঙ্গাপুরে দীর্ঘমেয়াদে বসবাস, কাজ এবং জীবনের সব সুবিধা ভোগ করার অন্যতম সেরা সুযোগ। তাই, যারা Employment Pass, S Pass কিংবা EntrePass নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন, তারা নির্দিষ্ট সময় পর এই পাসের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

সাধারণত ২ন থেকে ৩ বছর বৈধভাবে চাকরি করার পর PR-এর যোগ্যতা অর্জন করা যায়। আর PR স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আপনি অবাধে কাজ করতে পারেন, সম্পত্তি কিনতে পারেন, সন্তানদের জন্য সরকারি স্কুলে ভর্তি সহজ হয় এবং স্বাস্থ্যসেবা খরচও কমে যায়। 

এছাড়াও, এটি ভবিষ্যতে ভিসা ধারককে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও উন্মুক্ত করে। তাই, যারা স্থায়ীভাবে সিঙ্গাপুরে বসবাস করতে চান, তাদের জন্য PR একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

সিঙ্গাপুর ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে

সিঙ্গাপুরে ভিসা বা পাসের জন্য আবেদন করা তুলনামূলক সহজ হলেও, সঠিকভাবে ধাপগুলো অনুসরণ করা খুবই জরুরি। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে দেখুন-

  • প্রথম ধাপে, আবেদনকারীকে MOM (Ministry of Manpower) অথবা ICA (Immigration & Checkpoints Authority) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন জমা দিতে হয়। 
  • এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, যেমন- পাসপোর্ট কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, চাকরির অফার লেটার এবং অন্যান্য প্রমাণাদি আপলোড করতে হয়। 
  • আবেদন ফি নির্ধারিত খরচ অনুযায়ী প্রদান করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে আবেদন যাচাই করা হয়। 

সব ধাপ সম্পন্ন হলে অনুমোদনের পর ভিসার স্টিকার বা পাসপোর্টে সংশ্লিষ্ট স্টিকার সংযুক্ত করা হয়। কারণ, সঠিকভাবে ধাপে ধাপে আবেদন করলে অনুমোদনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের আইন অনুযায়ী বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করা সম্ভব হয়।

ভিসা ফি ও প্রসেসিং টাইম

সিঙ্গাপুরে ভিসার জন্য ফি ও প্রসেসিং টাইম মূলত ভিসার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তবে, ২০২৫ সালে আনুমানিক খরচ (১ SGD = ১,২৫০ BDT অনুযায়ী) নিচের মতো হয়ে থাকে। যেমন-

  • Employment Pass (EP)- SGD 105 থেকে 225  যা প্রায় BDT 1,31,250 থেকে 2,81,250।
  • S Pass- SGD 100 থেকে 150 যা প্রায় BDT 1,25,000 থেকে 1,87,500।
  • Work Permit- SGD 30 থেকে 80 যা প্রায় BDT 37,500 থেকে 1,00,000।
  • Student Pass- SGD 60 থেকে 90 যা প্রায় BDT 75,000 থেকে 1,12,500।
  • Permanent Residence (PR) আবেদন- SGD 100 থেকে 200 যা প্রায় BDT 1,25,000 থেকে 2,50,000।

সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রসেসিং সময় সাধারণত ২ থেকে ৮ সপ্তাহ লাগে। তবে, দ্রুত অনুমোদনের জন্য আবেদনপত্র সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। ব্যাংক ফি ও অনলাইন পেমেন্ট চার্জও খরচের সঙ্গে সামান্য বৃদ্ধি করতে পারে।

 সিঙ্গাপুর ভিসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ টিপস

সিঙ্গাপুরে ভিসা বা পাস আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-

  • প্রথমে চাকরি বা শিক্ষার অফার সম্পূর্ণ নিশ্চিত করুন।
  • সমস্ত ডকুমেন্ট ইংরেজিতে অনুবাদ করুন এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি ঠিকভাবে জমা দিন।
  • বেতন ও যোগ্যতার শর্ত পূরণ করা হয়েছে কি না যাচাই করুন।
  • এছাড়া, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করতে ভুলবেন না, যাতে বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে বসবাস ও কাজ করা চালিয়ে যাওয়া যায়।

শেষকথা- সিঙ্গাপুরের জনপ্রিয় ভিসার আপডেট তথ্য ২০২৫

সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা, চাকরি বা স্থায়ী বসবাস – যেকোনো উদ্দেশ্যের জন্যই হোক না কেন সঠিক ভিসা নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ। প্রতিটি ভিসার আলাদা আলাদা যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও খরচ থাকায় আগেই গবেষণা ও প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

আরো পড়ুনঃ 🇪🇺 ২০২৫ সালে ইউরোপিয়ান ব্লু কার্ড ভিসা গাইড – বাংলাদেশিদের জন্য পূর্ণাঙ্গ তথ্য

আপনি যদি পেশাদার হিসেবে সিঙ্গাপুর ক্যারিয়ার গড়তে চান, উদ্যোক্তা হতে চান, বা পরিবার নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চান, তবে সঠিক ভিসা আপনাকে সেই সুযোগ এনে দেবে। সতর্কভাবে আবেদন করলে সিঙ্গাপুরের উন্নত জীবন, উচ্চ বেতন ও অসংখ্য সুযোগ আপনার নাগালের মধ্যেই থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url