কানাডা কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, চাহিদা সম্পন্ন কাজ ও বেতন

আরো পড়ুনঃ জার্মানি ব্লু কার্ড ভিসা খরচ ২০২৫ – আবেদন, শর্ত ও পূর্ণাঙ্গ গাইড

কানাডা কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ভিসার ধরন, সরকারি ফি, অতিরিক্ত খরচ, বাংলাদেশ থেকে আবেদন প্রক্রিয়া, জনপ্রিয় কোম্পানি, বেতন, চাহিদাসম্পন্ন চাকরি এবং প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গাইড।

হ্যাঁ আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ, আপনারদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা কোম্পানীর ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন।

কানাডা কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫ – পূর্ণাঙ্গ তথ্যভিত্তিক গাইড

বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ কানাডায় বিভিন্ন ধরণের কাজ কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী। কারণ, কানাডা বিশ্বের অন্যতম উন্নত একটি দেশ, যেখানে চাকরির সুযোগ, ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ একসাথে পাওয়া যায়। 

বিশেষ করে, "কানাডা কোম্পানি ভিসা ২০২৫" বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভিসা অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তবে, ভিসা নেওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর খরচ বা ব্যয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া। 

এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত জানব, কানাডা কোম্পানি ভিসা খরচ ২০২৫, এর বিভিন্ন ধরন, সরকারি ফি, অতিরিক্ত খরচ, বেতন, দালালের প্রতারণা এড়ানোর উপায় এবং বাংলাদেশ থেকে আবেদন প্রক্রিয়ার আনুমানিক খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত।

কানাডা কোম্পানি ভিসা কী?

কানাডা কোম্পানি ভিসা মূলত এমন একটি ভিসা প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি চাইলে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কানাডায় প্রবেশ করতে পারেন বা কোনো কোম্পানির চাকরির অফারের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারেন। আর এর প্রধান কয়েকটি ধরণ হলো-

  • বিজনেস ভিজিটর ভিসা– স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়িক বৈঠক বা চুক্তির কাজে ব্যবহৃত।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা– কানাডার কোনো কোম্পানি চাকরির অফার দিলে এটি পাওয়া যায়।
  • স্টার্ট-আপ ভিসা– যারা কানাডায় নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্য।
  • ইন্ট্রা-কম্পানি ট্রান্সফার ভিসা– আন্তর্জাতিক কোম্পানির কর্মীদের কানাডা শাখায় কাজের সুযোগ দেয়।

কানাডা কোম্পানি ভিসার ধরন ও সরকারি খরচ ২০২৫

কানাডা কোম্পানীর ভিসা ব্যবস্থা বেশ কয়েক ধরণের হয়ে থাকে এবং এর খরচও নির্ভর করে আবেদনকারীর ভিসার ধরণের উপর। তবে, সাধারণত কানাডার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত ভিসার নাম ও খরচ নিচে টেবিলের মাধ্যমে দেওয়া হলো-

কানাডা কোম্পানি ভিসার ধরন সরকারি খরচ ২০২৫

নম্বর

ভিসার ধরন

সরকারি ফি(CAD)

বাংলাদেশি টাকায় 

বিজনেস ভিজিটর ভিসা।

CAD $100

প্রায় ,৫০০ টাকা।

ওয়ার্ক পারমিট।

CAD $155

প্রায় ১৪,৭২৫ টাকা।

ওপেন ওয়ার্ক পারমিট হোল্ডার ফি।

CAD $100

প্রায় ,৫০০ টাকা।

স্টার্ট-আপ ভিসা (Permanent Residence সহ)

CAD $2,385

প্রায় ,২৬,৫৭৫ টাকা।

ইন্ট্রা-কম্পানি ট্রান্সফার ওয়ার্ক পারমিট।

CAD $155

প্রায় ১৪,৭২৫ টাকা।

বায়োমেট্রিক্স ফি। 

CAD $85

প্রায় ,০৭৫ টাকা।

প্রতিজন নির্ভরশীল (Spouse/Child) ফি।

আলাদা চার্জ (CAD $100 থেকে $150)। 

প্রায় ,৫০০ থেকে ১৪,২৫০ টাকা।

কানাডা কোম্পানী ভিসার অতিরিক্ত খরচ (যা মনে রাখতে হবে) 

উপরে উল্লেখিত খরচ ছাড়াও, কানাডার কোম্পানীর ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খরচ রয়েছে, যা আবেদনকারীকে মনে রাখা খুবই জরুরি। যেমন-
  • বায়োমেট্রিক্স খরচ– প্রতিটি আবেদনকারীর জন্য CAD $85।
  • মেডিকেল টেস্ট– বাংলাদেশে IOM অনুমোদিত সেন্টারে সাধারণত ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট– প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা।
  • ডকুমেন্ট অনুবাদ ও নোটারি ফি– ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা (প্রয়োজন অনুযায়ী)।
  • ভিসা সেন্টার (VFS) সার্ভিস চার্জ– প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা।
  • ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স– স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণের জন্য ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা কোম্পানি ভিসার মোট খরচ কত?

যদি বাংলাদেশ থেকে যদি কোনো কর্মী কানাডায় কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করেন, তবে তার আনুমানিক খরচ নিম্নরূপ হবে। যেমন-

  • বিজনেস ভিজিটর ভিসা- ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা (সব খরচসহ)।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা- ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা (ডকুমেন্টস ও অতিরিক্ত চার্জসহ)।
  • স্টার্ট-আপ ভিসা- ২,৫০,০০০ টাকার বেশি (কারণ এখানে তার স্থায়ী বসবাসের প্রসেসও অন্তর্ভুক্ত থাকে)।

কানাডা কোম্পানি ভিসার বেতন কত?

এখানে আপনাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা করা দরকার যে, কানাডা কোম্পানি ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটে বেতন সুনির্দিষ্ট নয়। কেননা বেতন নির্ভর করে, আপনার কাজের ধরণ (Occupation), কানাডার প্রদেশ/ শহর, কোম্পানি ও শিল্পখাত (Industry), আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, কানাডায় গড় বেতন (২০২৫ অনুযায়ী)। যেমন সেখানে-

  • ন্যূনতম মজুরি (Minimum Wage)- প্রদেশভেদে ঘণ্টায় CAD $15 থেকে $17.50 (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৪৫০ থেকে ১,৬৫০ টাকা প্রতি ঘণ্টা)।
  • সপ্তাহে কাজের সময়- সাধারণত ৪০ ঘণ্টা।
  • মাসিক গড় বেতন (ন্যূনতম হিসেবে)- CAD $2,400 থেকে $2,800 (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২,৩০,০০০ থেকে ২,৭০,০০০ টাকা)।
  • দক্ষ পেশাজীবী (Skill-based jobs)- যেমন IT, ইঞ্জিনিয়ার, হেলথকেয়ার– CAD $4,000 থেকে $6,500 (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩,৮০,০০০ থেকে ৬,২০,০০০ টাকা)।
  • সাধারণ শ্রমিক বা কোম্পানি ভিসায় কাজ- CAD $2,000 থেকে $3,000 (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৯০,০০০ থেকে ২,৮৫,০০০ টাকা)।

কানাডার জনপ্রিয় কোম্পানির নাম (২০২৫)

কানাডা বিশ্বের অন্যতম উন্নত অর্থনীতির দেশ, যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় কোম্পানি কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে, টরন্টো, ভ্যাঙ্কুভার, মন্ট্রিয়েল ও ক্যালগেরি শহরগুলোতে বড় বড় কর্পোরেট অফিস রয়েছে। তবে, কানাডার জনপ্রিয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে–

  • Shopify– ই-কমার্স সেক্টরে অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি।
  • Royal Bank of Canada (RBC)– কানাডার সবচেয়ে বড় ব্যাংক।
  • Toronto-Dominion Bank (TD Bank)– আরেকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক।
  • Scotiabank– আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেবার জন্য পরিচিত।
  • Brookfield Asset Management– বিনিয়োগ ও রিয়েল এস্টেট সেক্টরে শীর্ষ কোম্পানি।
  • Manulife Financial– বীমা ও আর্থিক খাতে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান।
  • Magna International– গাড়ি ও অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ নির্মাণে বিশ্বখ্যাত।
  • BCE Inc. (Bell Canada)– টেলিকম খাতের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান।
  • Suncor Energy– তেল ও গ্যাস শিল্পে অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি।

উপরে উল্লেখিত কোম্পানীগুলোতে কাজ করলে বিদেশিদের জন্য উচ্চ বেতন ও ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৫ - আবেদন, খরচ, যোগ্যতা ও কাজের সুযোগ

কানাডা কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায় (সরকারি/বেসরকারি)

বর্তমানে কানাডা কোম্পানি ভিসা পাওয়ার দুটি প্রধান সরকারি ও বেসরকারি পথই খোলা রয়েছে। নিচে কানাডা যাওয়ার উপায় দুটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

কানাডা কোম্পানী ভিসায় সরকারিভাবে যাওয়ার উপায়

কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি আবেদন করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। কেননা এখানে ভিসার ধরন (ওয়ার্ক পারমিট, বিজনেস ভিজিটর, স্টার্ট-আপ) বেছে নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে প্রসেসিং ফি প্রদান করলে আবেদনটি সরকারি চ্যানেলে যাচাই হয়।

কানাডা কোম্পানী ভিসায় বেসরকারিভাবে যাওয়ার উপায়

বেসরকারি উপায়ে আবেদন সাধারণত লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্সি বা অনুমোদিত কনসালটেন্সির মাধ্যমে করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ভিসা প্রসেসিং, ডকুমেন্টেশন ও চাকরির সুযোগ মিলিয়ে সহায়তা করে। তবে, প্রতারণার ঝুঁকি এড়াতে BMET অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নেওয়া জরুরি।

অতএব, কানাডা কোম্পানি ভিসার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হলো সরকারি চ্যানেল, আর বেসরকারি এজেন্সি কেবল সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।

কানাডা সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ ২০২৫

কানাডায় বর্তমানে দক্ষ জনবলের প্রচুর ঘাটতির কারণে, বেশ কিছু খাতে চাকরির চাহিদা অত্যন্ত বেশি। যা, ২০২৫ সালে এসে শ্রমবাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে –

  • হেলথকেয়ার সেক্টর- ডাক্তার, নার্স, কেয়ারগিভার, ফার্মাসিস্ট।
  • আইটি ও টেকনোলজি- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডেভেলপার, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ।
  • ট্রেড ও টেকনিক্যাল কাজ- ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডার, মেকানিক।
  • ট্রাক ড্রাইভার ও লজিস্টিক্স- পণ্য পরিবহন ও সাপ্লাই চেইনে বড় ঘাটতি থাকায় এদের চাহিদা সর্বোচ্চ।
  • শিক্ষা খাত- শিক্ষক ও প্রশিক্ষক।
  • কৃষি ও ফুড প্রসেসিং- ফার্ম ওয়ার্কার, ফুড প্যাকেজিং কর্মী।

আর এসকল কাজ শুধুমাত্র স্থানীয়দের জন্য নয়, বরং বিদেশি কর্মীদের জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে। তাই, সঠিক যোগ্যতা ও ভিসা থাকলে বাংলাদেশি কর্মীরাও সহজে এসব খাতে চাকরি করতে পারেন।

দালাল প্রতারণা থেকে সতর্কতা

বাংলাদেশে অনেক ভিসা দালাল বা অবৈধ রিক্রুটিং এজেন্ট রয়েছে, জারা বেশি টাকার বিনিময়ে ভিসার নিশ্চয়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু বাস্তবে তারা প্রায়শই প্রতারণা করে। তবে, নিচের বিষয়গুলো মনে রাখলে দালালের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমন- 

  • কানাডা কোম্পানি ভিসার সরকারি ফি নির্ধারিত, এর বাইরে অতিরিক্ত লাখ টাকা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
  • ভিসা প্রসেসিং অনলাইনে সরাসরি IRCC (Immigration, Refugees and Citizenship Canada) ওয়েবসাইট থেকে করা যায়।
  • বাংলাদেশ থেকে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত হলে তাদের মাধ্যমে আবেদন করুন।

কানাডা কোম্পানি ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা

কানাডা কোম্পানী ভিসার রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে, সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। নিচে কানাডা কোম্পানীর ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- 

কানাডা কোম্পানি ভিসার সুবিধা

কানাডা কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে কর্মীরা সেখানে বৈধভাবে (কানাডায়) কাজ করার সুযোগ পান। এর মাধ্যমে তারা ভালো পরিমাণে বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশে কাজ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ভোগ করতে পারেন। 

তাছাড়া, অনেক সময় অনেক কোম্পানি থাকার জায়গা, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে। আবার দীর্ঘমেয়াদে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও তৈরি হতে পারে।

কানাডা কোম্পানি ভিসার অসুবিধা

কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ। আবার সব কোম্পানি সমান সুবিধা দেয় না, ফলে অনেক সময় প্রত্যাশা অনুযায়ী সুবিধা না-ও মেলে। খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে দালাল বা ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

এছাড়াও, সেখানে নতুন পরিবেশ, ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

ভিসা খরচ কমানোর কিছু উপায়

কানাডার ভিসার খরচ কমানোর জন্য নিচের কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন-
  • নিজে আবেদন করুন– এজেন্টের মাধ্যমে না গিয়ে নিজেই আবেদন করলে অপ্রয়োজনীয় চার্জ বাঁচানো যায়।
  • সঠিক ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন– ভুল ডকুমেন্টের কারণে বারবার আবেদন করতে হলে খরচ বেড়ে যায়।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন– ভুয়া ওয়েবসাইট বা দালালের মাধ্যমে আবেদন করলে টাকা নষ্ট হতে পারে।
  • একসাথে পরিবারের আবেদন করুন– আলাদা আলাদা আবেদন করার চেয়ে একসাথে করলে কিছু ক্ষেত্রে খরচ কমে যায়।

শেষকথা- কানাডা কোম্পানী ভিসার আপডেট তথ্য

কানাডা কোম্পানি ভিসা ২০২৫ এর খরচ মূলত নির্ভর করে ভিসার ধরন, আবেদনকারীর সংখ্যা এবং অতিরিক্ত খরচের উপর। তবে, সাধারণ ভিজিটর ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের খরচ তুলনামূলকভাবে কম হলেও, স্টার্ট-আপ ভিসা বা স্থায়ী বসবাসের আবেদন অনেক ব্যয়বহুল। 

বাংলাদেশ থেকে আবেদন করলে, বায়োমেট্রিক্স, মেডিকেল, ডকুমেন্ট অনুবাদ এবং এজেন্সি চার্জসহ মোট খরচ কিছুটা বেশি হয়। তাই, ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই সরকারি ফি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখুন এবং দালালদের থেকে সতর্ক থাকুন।

কানাডা কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত ৫ প্রশ্ন- উত্তর

কানাডা কোম্পানি ভিসা কী?

কানাডা কোম্পানি ভিসা হলো এমন একটি ভিসা যা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বা কোনো কোম্পানির চাকরির অফারের ভিত্তিতে কানাডায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়। এটি মূলত চারটি ধরনের হয়ে থাকে– বিজনেস ভিজিটর ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, স্টার্ট-আপ ভিসা এবং ইন্ট্রা-কম্পানি ট্রান্সফার ভিসা।

কানাডা কোম্পানি ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করা যায়?

ভিসার আবেদন প্রধানত দুইভাবে করা যায়, যেমন-

  • সরকারি চ্যানেল- IRCC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন।
  • বেসরকারি চ্যানেল- অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বা কনসালটেন্সি। সরকারি চ্যানেল সবচেয়ে নিরাপদ।

বাংলাদেশ থেকে আবেদন করলে খরচ কত হবে?

বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক খরচ হবে-
  • ওয়ার্ক পারমিট- ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা।
  • বিজনেস ভিজিটর ভিসা- ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা।
  • স্টার্ট-আপ ভিসা- ২,৫০,০০০ টাকার বেশি (সব ফি ও অতিরিক্ত খরচসহ)।

কোন কাজগুলো সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন?

সেখানে সর্বোচ্চ চাহিদা আছে– হেলথকেয়ার (ডাক্তার, নার্স), IT ও টেকনোলজি (সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সাইবার সিকিউরিটি), ট্রেড ও টেকনিক্যাল কাজ (ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার), ট্রাক ড্রাইভিং, শিক্ষা খাত (শিক্ষক) এবং কৃষি/ফুড প্রসেসিং।

আরো পড়ুনঃ কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, শর্ত ও পূর্ণাঙ্গ গাইড

দালাল প্রতারণা থেকে কীভাবে বাঁচা যায়?

  • সরকারি চ্যানেলে আবেদন করুন, এজেন্টের উপর নির্ভর করবেন না।
  • BMET অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিন।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
  • অপ্রয়োজনীয় ফি বা ভিসার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে টাকা দেবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url