কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, শর্ত ও পূর্ণাঙ্গ গাইড

আরো পড়ুনঃ জার্মানি কী কী ভিসা পাওয়া যায়? - জার্মানি কৃষি কাজের ভিসা ২০২৫

কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ কত, আবেদন করার নিয়ম, যোগ্যতা, কাজের ধরন, সরকারি ফি, দালাল চক্র থেকে সাবধানতা ও নিরাপদ উপায়ে ভিসা পাওয়ার গাইড জানতে পড়ুন বিস্তারিত।

হ্যাঁ আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ, আপনারা জারা কোম্পানির ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চান, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এটি একটু সময় নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ – সকল তথ্য

কুয়েত বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের একটি উন্নত দেশ, যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। বিশেষ করে নির্মাণ, ড্রাইভিং, ইলেকট্রিক, প্লাম্বিং, সিকিউরিটি, হোটেল এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজের জন্য প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ও দক্ষ কর্মী কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় যাচ্ছেন। 

২০২৫ সালে কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ, আবেদন প্রক্রিয়া ও শর্তাবলীতে কিছু পরিবর্তন এসেছে, তাই যারা কুয়েত যেতে চান, তাদের সবার জন্য যানা জরুরি। কারণ, অনেকেই দালাল বা ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হন, অথচ সরকারি নিয়মে সহজেই বৈধভাবে কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়া সম্ভব। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে কুয়েত কোম্পানি ভং ২০২৫ সালের খরচ, আবেদন পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট, সরকারি ফি, চাকরির ধরন এবং নিরাপদ উপায়ে ভিসা পাওয়ার সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরবো। চলুন তাহলে আমরা দেখি-

কুয়েত কোম্পানি ভিসা কী?

কুয়েত কোম্পানি ভিসা হলো এমন এক বিশেষ ওয়ার্ক পারমিট, যা কুয়েতের কোনো কোম্পানি সরাসরি বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য প্রদান করে। এই ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিক ও দক্ষ কর্মীরা বৈধভাবে কুয়েতে গিয়ে চাকরি করতে পারেন। 

কোম্পানি ভিসায় সাধারণত কর্মক্ষেত্র, চাকরির ধরন, বেতন এবং সুবিধা আগেই নির্ধারিত থাকে।নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্মীর জন্য ওয়ার্ক পারমিট ও স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা করে দেয়, ফলে ভিসাধারী ব্যক্তি কুয়েতে গিয়ে বৈধভাবে কাজ, বসবাস এবং চুক্তি অনুযায়ী সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। এটি হলো কুয়েতে কাজ করার সবচেয়ে নিরাপদ ও বৈধ উপায়।

বাংলাদেশিদের জন্য কেন কুয়েত জনপ্রিয় কর্মস্থল?

কুয়েত দীর্ঘ সকয় ধরেই বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একটি জনপ্রিয় কর্মস্থল। কারণ 

** প্রথমত, কুয়েতে শ্রমবাজার বিস্তৃত এবং নির্মাণ, ড্রাইভিং, সিকিউরিটি, হোটেল, স্বাস্থ্যসেবা ও টেকনিক্যাল কাজসহ বিভিন্ন খাতে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। 

** দ্বিতীয়ত, কুয়েতে আয় তুলনামূলকভাবে ভালো এবং অতিরিক্ত কাজ করলে বাড়তি ইনকাম করার সুযোগ থাকে। 

** তৃতীয়ত, কুয়েতে জীবনযাত্রার খরচ কম হওয়ায় শ্রমিকরা সহজেই সঞ্চয় করতে পারেন।

এছাড়া কুয়েত বাংলাদেশের কাছাকাছি হওয়ায় যাতায়াত খরচ কম, এবং পরিবারে টাকা পাঠানোও সহজ হয়। সরকারি নিয়মে কোম্পানি ভিসা পেলে এটি বৈধ ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেয়, যা বাংলাদেশিদের কাছে কুয়েতকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ – বিস্তারিত বিশ্লেষণ

কুয়েত কোম্পানি ভিসার খরচ ২০২৫ সালে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে, যা মূলত নির্ভর করছে কোন খাতে কাজ করছেন, কোম্পানির ধরণ, এজেন্সির চার্জ এবং সরকারি ফি’র উপর। তবে, সাধারণত কুয়েতের কোম্পানি শ্রমিক নিয়োগ করলে তারা ওয়ার্ক পারমিট, স্পন্সরশিপ এবং টিকেটের একটি অংশ বহন করে থাকে। 

তবে, বাংলাদেশ থেকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিতে গড়ে প্রায় ১,৫০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, প্রশিক্ষণ ফি এবং এজেন্সি চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান BOESL এর মাধ্যমে গেলে খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম এবং নিরাপদ হয়, প্রায় ৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকার মধ্যে ভিসা পাওয়া সম্ভব। তবে, দালাল বা ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে গেলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় এবং প্রতারণার ঝুঁকিও থাকে। 

তাই, ২০২৫ সালে কুয়েত কোম্পানি ভিসার আসল খরচ নির্ভর করবে আপনার নেওয়া প্রক্রিয়ার উপর, যেমন— সরকারি নিয়মে গেলে খরচ অনেকটা সাশ্রয়ী হবে, কিন্তু বেসরকারি পথে গেলে খরচ বেশি পড়তে পারে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার সরকারি ফি কত?

বর্তমানে কুয়েত কোম্পানি ভিসার সরকারি ফি সাধারণত খুব বেশি একটা নয়, তবে এটি বিভিন্ন ধাপের মাধ্যমে আদায় করা হয়। ২০২৫ সালে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য সরকারি ফি গড়ে ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা হয়ে থাকে। 

এর মধ্যে অন্যতম হলো মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এম্বাসি ভিসা স্ট্যাম্পিং চার্জ এবং BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) রেজিস্ট্রেশন ফি যা অন্তর্ভুক্ত থাকে। 

তবে, খরচ সঠিকভাবে জানতে হলে সবসময় BMET অনুমোদিত এজেন্সি বা সরকারি প্রতিষ্ঠান BOESL-এর বিজ্ঞপ্তি দেখা উচিত। এতে বাড়তি চার্জ থেকে যেমন বাঁচা যায় তেমনিভাবে বৈধভাবে কুয়েত ভিসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় কোন কোন খাতে কাজ পাওয়া যায়

কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নানা ধরনের খাতে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিয়োগ হয়, নির্মাণ খাতে যেমন- রাজমিস্ত্রি, লেবার, ওয়েল্ডার, ইলেকট্রিশিয়ান ও প্লাম্বার হিসেবে। 

এছাড়াও, ড্রাইভিং (গাড়ি, ট্রাক ও ভারী যানবাহন চালক), সিকিউরিটি গার্ড, এবং হাউজকিপিং বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজেও বাংলাদেশিরা চাকরি পান। সেখানে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতে ওয়েটার, কুক, ক্লিনার এবং সাপোর্ট স্টাফের কাজ পাওয়া যায়। 

এগুলোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, শপিং মল, কারখানা ও তেল-গ্যাস কোম্পানিতেও দক্ষ কর্মীদের জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফলে, দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীদের জন্য কুয়েতে কোম্পানির ভিসা একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুনঃ চীনের শিক্ষা ভিসা ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, খরচ ও সম্পূর্ণ গাইড

কুয়েতের জনপ্রিয় কোম্পানির নাম

কুয়েতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় কোম্পানি রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মিতভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানিগুলো হলো-

  • Kuwait Oil Company (KOC).
  • Kuwait National Petroleum Company (KNPC) এবং 
  • Kuwait Airways উল্লেখযোগ্য।
  • এছাড়া নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে Kharafi National, Gulf Construction Company এবং Alghanim Industries জনপ্রিয়। 
  • নিরাপত্তা ও সার্ভিস সেক্টরে Kuwait Security Company
  • আর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতে Marriott KuwaitJumeirah Messilah Beach Hotel বাংলাদেশিদের নিয়োগ করে থাকে। 
উপরে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীদের জন্য নিয়মিত কোম্পানি ভিসার সুযোগ থাকে।

কুয়েত কোম্পানির কাজের বেতন ২০২৫

কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় কর্মরতদের কাজের বেতন নির্ভর করে কাজের ধরণ, দক্ষতা এবং নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের উপর। যেমন-  

** ২০২৫ সালে গড়ে সাধারণ শ্রমিক বা হেল্পারের বেতন ৮০ থেকে ১০০ কুয়েতি দিনার (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা) দিয়ে শুরু হয়।

** নির্মাণ খাতে রাজমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান বা ওয়েল্ডারের মতো স্কিলড ওয়ার্কাররা মাসে ১২০ থেকে ১৮০ দিনার (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪২,০০০ থেকে ৬৩,০০০ টাকা) পর্যন্ত আয় করতে পারেন। 

** ড্রাইভারদের বেতন সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ দিনার (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫২,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা) এর মধ্যে থাকে। 

** এছাড়া, সিকিউরিটি গার্ড ও হোটেল কর্মীরা মাসে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ দিনার (যা, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ১,০৫,০০০ টাকা) আয় করেন। 

আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা দেয়, ফলে সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওভারটাইম করলে আয় আরও বেশি হতে পারে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য যোগ্যতা ও শর্তাবলী

কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স সাধারণত ২১ থেকে ৪৫ বছর এর মধ্যে হতে হয়, তবে কাজের ধরন অনুযায়ী বয়স ভিন্ন হতে পারে। 

প্রার্থীর বৈধ পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত বা কারিগরি যোগ্যতা থাকতে হবে। তাছাড়া, নিয়োগকর্তা কোম্পানি থেকে ভিসা অনুমোদন বা স্পন্সরশিপ পাওয়া বাধ্যতামূলক।

এছাড়াও, BMET রেজিস্ট্রেশন ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রও থাকতে হবে। আবেদনকারি সব শর্ত পূরণ করলে কুয়েত কোম্পানি ভিসায় বৈধভাবে কাজ করা সম্ভব।

ভিসা আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হয়। এরমধ্যে বৈধ পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র এবং BMET/ BOESL অনুমোদনপত্র অন্তর্ভুক্ত। 

এছাড়াও, নিয়োগকর্তা কোম্পানি থেকে স্পন্সরশিপ লেটার এবং চুক্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। এই সমস্ত কাগজপত্র সঠিক ও বৈধ হলে ভিসা আবেদন দ্রুত, নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত হয়। অনুপস্থিত কোনো কাগজপত্র ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব বা বাতিলের কারণ হতে পারে। তাই, আবেদনকারীদের সবকিছু আগে থেকে প্রস্তুত রাখা উচিৎ।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া (ধাপে ধাপে)

কুয়েত কোম্পানি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ সালে কিছুটা সহজ হলেও, সেটি সেটি কয়েকটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়।

  • প্রথমে প্রার্থীকে BMET অনুমোদিত এজেন্সি বা সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
  • এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- বৈধ পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি জমা দিতে হয়।
  • কোম্পানি ভিসা স্পন্সরশিপ লেটার প্রদান করে, যা কুয়েত এম্বাসিতে জমা হয়। এরপর ভিসা ফি প্রদান, মেডিকেল পরীক্ষা এবং প্রাথমিক অনুমোদন সম্পন্ন হয়। 
  • অনুমোদনের পরে কুয়েত এম্বাসি বা কনস্যুলেটে ভিসা স্ট্যাম্প করা হয়। 
  • সর্বশেষ ধাপে বিমান টিকেট বুকিং এবং কুয়েতে যাত্রা নিশ্চিত করা হয়। 
পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে, যদিও সময় কাজের ধরন ও কোম্পানির উপর নির্ভর করে।

BMET অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা

BMET (Bureau of Manpower, Employment and Training) অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কুয়েত কোম্পানি ভিসার নিরাপদ ও বৈধ পথ নিশ্চিত করে। এই এজেন্সিগুলি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে, প্রার্থীর কাগজপত্র যাচাই, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং কোম্পানি স্পন্সরশিপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। 

এছাড়াও, এজেন্সিগুলি দালাল প্রতারণা থেকে রক্ষা করে এবং ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করতে সহায়তা করে। BMET অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে প্রার্থীরা বৈধভাবে কুয়েতে কোম্পানি ভিসা পেতে পারেন এবং ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতায় পড়তে হয় না।

BOESL এর মাধ্যমে কুয়েত ভিসা – নিরাপদ উপায়

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা BOESL (Bangladesh Overseas Employment and Services Limited) এর মাধ্যমে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। BOESL সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে আবেদন করলে দালাল বা ভুয়া এজেন্সির প্রতারণার কোন ঝুঁকি থাকে না।

তাছাড়া, এখানে প্রার্থীকে কেবল বৈধ পাসপোর্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। এরপর BOESL প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানি স্পন্সরশিপ ও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে থাকে। 

এই উপায়ে ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং বৈধ, ফলে প্রবাসীর জন্য কুয়েতে চাকরি ও বসবাস নিশ্চিত হয়। BOESL ব্যবহার করলে পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত হয়।

কুয়েত ভিসা প্রসেসিং টাইম কতদিন লাগে?

কুয়েত কোম্পানি ভিসার প্রসেসিং টাইম সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে, এটি অনেকটা নির্ভর করে আবেদনকারী প্রার্থীর কাজের ধরন, কোম্পানির স্পন্সরশিপ এবং মেডিকেল পরীক্ষার ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টের উপর। 

সরকারি অনুমোদিত এজেন্সি বা BOESL এর মাধ্যমে আবেদন করলে প্রসেসিং দ্রুত হয় এবং ঝামেলা কম থাকে। কখনও কখনও অতিরিক্ত কাগজপত্র বা বিশেষ কাজে ৬০ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। সুতরাং আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে যথেষ্ট সময় ধরে প্রস্তুতি রাখা জরুরি।

দালাল প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়

কুয়েত কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে দালাল প্রতারণা থেকে বাঁচতে শুধু BMET অনুমোদিত এজেন্সি বা সরকারি BOESL এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোনো অজানা বা ভুয়া এজেন্সির সঙ্গে লেনদেন করা যাবে না। সব কাগজপত্র বৈধভাবে যাচাই করুন এবং কমিশন বা অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া এড়িয়ে চলুন।

শেষকথা- কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায় ২০২৫

কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২৫ সালেও বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। তবে, ভিসার খরচ, সরকারি ফি এবং এজেন্সির চার্জ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়া অধিক চাহিদাসম্পন্ন কাজ কী – অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের বেতন কত

তাই, ভিসার আবেদন করার আগে সবসময় BMET অনুমোদিত এজেন্সি অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠান BOESL এর মাধ্যমে যাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। সঠিক নিয়মে আবেদন করলে কুয়েতে বৈধভাবে চাকরি পাওয়া অনেক সহজ এবং ভবিষ্যতে পরিবার ও নিজের জন্য একটি সুন্দর জীবন গড়া সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url