আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা প্রকৃত ভালোবাসা কেবল আল্লাহর জন্যই হতে হবে কাউকে ভালবাসলে সেটাও আল্লাহর জন্যই হওয়া উচিত। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায় সম্পর্কে। মানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে অনুসরণ করে আল্লাহর সকল বিধি-বিধান মেনে চলার নামই আল্লাহর ভালোবাসা।
সূচিপত্রঃ আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
- ভূমিকা
- আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
- আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার দোয়া
- আল্লাহকে পাওয়ার উপায় কি
- আল্লাহকে ভালোবাসার আমল
- আল্লাহর ভালোবাসার আলামত
- শেষ কথা
ভূমিকাঃ
প্রত্যেক মুসলমান এর উচিত আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা অর্জন করা। এবং মহান আল্লাহর ভালোবাসা অর্জুনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে আল্লাহর জন্য নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করে দেওয়া। পবিত্র কুরআনুল কারীমে এরশাদ হয়েছে-" বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুসরণ কর আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু" সূরা আলে ইমরান আয়াত ৩১
আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন দারিদ্র্যের জন্য তৈরি হও তারপর আবার সে বলল আল্লাহকে মহব্বত করো হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তা হল বালা-মুসিবত দুঃখ কষ্ট সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় কর। সুতরাং আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সব কিছুর উর্ধ্বে এই ভালোবাসা সত্যিকার ভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহর অনুগত্য ও ইবাদতের মধ্য দিয়ে। আপনার ভালোবাসা আল্লাহর প্রতি যদি অতি প্রবল ও খাঁটি হয় তবে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারেনা।
মহব্বতি প্রাধান্য লাভ করে যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি খুশি থাকে শেষ নিঃসন্দেহে উচ্চ মর্তবা পৌঁছে যায়। আপনি যদি আল্লাহকে ভালবাসেন তবে আপনাকে অবশ্যই দুনিয়ার যাবতীয় বালা মুসিবত দুঃখ কষ্ট ব্যথা বেদনা সহ্য করতে হবে কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোন সম্বল নেই কাজেই সেই সৌভাগ্যবান যে দুনিয়ার জীবনের সেই ভাগ্যবান যে আল্লাহর ভালবাসার রঙে উজ্জ্বল।
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়ঃ
আমরা যে জায়গায় চিরকাল থাকতে পারবো না যে জায়গায় আমার নয় সেই জায়গার সঙ্গে এত বেশি মায়া বাড়িয়ে লাভ কি বরং যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো তাই নিজের মধ্যে থেকে দুনিয়ার আসক্তি কমাতে হবে। তাহলে আপনি আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করতে পারবেন। এক হাদিসে এসেছে বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বলতে শুনেছি একবার তিনি এক ভাষণে বলেন মত হল পাপের সমষ্টি নারী সম্প্রদায় শয়তানের ফাঁদ আর দুনিয়ার মহব্বত সব পাপের মূল। আত তারগিব ওয়াত তারহিব,হাদিস
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ছোট্ট হাদিস আমাদের জন্য বিশাল দিকনির্দেশনা আমরা যত পাপাচার করে বেড়াই তার অন্যতম কারণ হচ্ছে দুনিয়ার মোহ, দুনিয়ার পথিক অত্যাধিক আসক্তি এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ দুনিয়ার আসক্তি মন থেকে কিভাবে দূর করব। আল্লাহ ভালবাসার লাভের উপায় গুলো নিম্ন তুলে ধরা হলো-
কুরআন বুঝে পড়াঃ
পবিত্র কুরআনে আল্লাহতালা মানব জাতির জন্য অনেক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষ যখন কোরআন পড়বে এবং বোঝার চেষ্টা করবে বুঝে বুঝে পড়তে চেষ্টা করবে। তখন তার মধ্যে আল্লাহর ভালোবাসা মহব্বত বৃদ্ধি পেতে থাকবে, সেজন্য শুধু কোরআন তেলাওয়াত করলে হবেনা কোরআনুল কারীম বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
নিয়মিত জিকির করাঃ
কষ্ট হলেও নিয়মিত আল্লাহর জিকির করতে হবে কারণ আব্দুল্লাহ ইবনে বিশ্বরাজালতে বর্ণিত তিনি বলেন হে আল্লাহর রাসূল ইসলাম থেকে অনেক বিষয় আছে সবগুলোর উপর আমল করা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব হবে না সুতরাং আমাকে এমন কোন আমলের কথা বলে দিন যাতে আমি সব সময় লেগে থাকতে পারি তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তোমর জিহ্বা যেন সর্বদা আল্লাহর জিকিরের থাকে।
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার দোয়াঃ
মহান রাব্বুল আলামিন ভালবাসার সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি প্রাণীকে তিনি ভালোবাসা দান করেছেন তিনি সৃষ্টিকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন। এবং ভালোবাসার মাধ্যমে তিনি তার বান্দাকে সোয়াবও দান করবেন তবে সব রকম ভালোবাসা হতে হবে বৈধ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব দোয়া পড়েছেন সেগুলো থেকে আজকে আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা কয়েকটি উল্লেখ করলাম। যাতে করে পাঠক বৃন্দ সে দোয়া গুলো শিখে এবং সেগুলোর উপর আমল করতে পারে। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার দোয়া-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময়ই এই দোয়া পাঠ করতেন-
" আল্লাহুম মারজুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বামাইয়ানফানি হুব্বাহু ইনদাকা"
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয় তার ভালোবাসাও দান করুন।( তিরমিজি হাদিসঃ৩৪৯১ )
আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজিদ আল আনসারী রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আল্লাহ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম দোয়ার মধ্যে এই কথাগুলো বলতেন-
"আল্লাহ মারজুকনি হুব্বকা ওয়া হুব্বা মাই ইয়ানফাওনি হুব্বাহু ইন্দাকা,আল্লাহুম্মার যুকনি মিম্মা উহিব্বু ফাজয়ালাহু কবুওয়াতান লি ফিমা তুহিব্বু।আল্লাহুম্মা মা যাওয়াইতা আন্নি মিম্মা উহিব্বু ফাজালহু ফারগান লি ফিমাতু"।
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনার ভালবাসা আমাকে দান করুন এবং ওই ব্যক্তির ভালোবাসা আমাকে দান করুন যার ভালোবাসা আপনার নিকটে আমাকে উপকার দেবে । হে আল্লাহ আপনি আমাকে আমার যে প্রভু বস্তুরী হিসেবে দান করেছেন সেগুলোকে আপনার ভালোবাসার বস্তুর শক্তিতে পরিণত করুন। হে আল্লাহ আমি যা কিছু ভালোবাসি তার থেকে আপনি জানিয়ে গেছেন সেগুলোকে আপনি যা ভালবাসেন তার জন্য মুক্ত স্থান বানিয়ে দিন। তিরমিজি, হাদিসঃ৩৪৯১ )
কায়েস ইবনে ওবাদা রাদিয়াল্লাহু বলেন, আমার ইবনে ইয়াশার লোকদের নিয়ে নামাজ পড়ালেন তিনি নামাজটি সংক্ষিপ্ত করলেন মনে হল যেন লোকেরা তা অপছন্দ করল। তিনি তা বুঝতে পেরে বললেন, আমি কি রুকু সেজদা পরিপূর্ণ করিনি। তারা বলল হ্যাঁ অবশ্যই, তিনি বললেন শোনো আমি নামাজের মধ্যে ঐ সকল দোয়া পড়েছি যেগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম পড়েছেন।
" আল্লাহুম্মা ইন্নি আছালুকাস শাওকা ইলা লিকায়িকা ওয়ালাজ্জাতান নাযরি ইলা ওয়াজ হিকাল কারিম"
অর্থঃ হে আল্লাহ নিশ্চয়ই আমি আপনার সাক্ষাতে আগ্রহ কামনা করছি এবং আপনার সম্মানিত চেহারার প্রতি দৃষ্টি দেয়া কামনা করছি।
আল্লাহকে পাওয়ার উপায় কিঃ
মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে সকল নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেছেন তার অনুগত্য করার জন্য। এবং তার সকল সৃষ্টি তিনি ভালোবাসেন। রাসুলের ভালোবাসা আল্লাহর ভালোবাসার অনুগামী এবং আল্লাহ তালাকে ভালোবাসার দাবি হলো তাঁর রাসূলকে ভালোবাসা।, আর যে ব্যক্তি রাসূল কে ভালবাসবে সে অবশ্যই রাসূলের অনুসরণ করবে।
সুতরাং যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসার দাবি করবে অথচ সে রাসূলের আনীত দ্বীন ও সুন্নাতের বিরোধিতা করবে এবং তাকে বাদ দিয়ে ভ্রান্ত অভিজাতি ও কুসংস্কার শূন্য লোকদের অনুসরণ করবে সুন্নত পরিহার করে বিদআতকে পুনরুদ্ধ করবে সে তার দাবিতে মিথ্যুক। যদিও সে দাবি করে সে অবশ্যই তার মাহবুবের আনুগত্য করবে।
আল্লাহর ভালোবাসা দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে দামি। এবং আল্লাহর ভালোবাসা হতে হবে তার সত্যিকারের আনুগত্য ও ইবাদতের মধ্যে। আপনি যদি আল্লাহকে পেতে চান তবে অবশ্যই তার নবী ও রাসূল এবং তার দেখানো পথ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। এটাই হবে মূলত ভালোবাসার আদর্শ এ সম্পর্কে হযরত রাসূলে মকবুল সাঃ বলেছেন আল্লাহর ইচ্ছায় মার্জিত রাজি খুশি থাকাই হচ্ছে মহব্বতের বড় দরজা।
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও খুশি থাকে সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মর্তোয়াই পৌঁছে যায় কেননা সে তো যেকোন দুঃখ কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের যথেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম আহকাম গুলো সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে। অতএব আপনি যদি আল্লাহকে পেতে চান তবে অবশ্যই তার দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত দুঃখ-কষ্ট ব্যথা বেদনা সহ্য করতে হবে আপনাকে।
কেননা পরকালে আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কোন সম্বল নেই কাজেই সেই সৌভাগ্যবান যে দুনিয়ার জীবনে সর্বস্থায় আল্লাহর ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙাতে পেরেছি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, নিজেকে যে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করেছে সেই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরদ হয়েছে।
আল্লাহকে ভালোবাসার আমলঃ
প্রত্যেকটা মুসলমানের প্রকৃত ভালোবাসা কেবল আল্লাহর জন্যই হতে হবে। কাউকে ভালবাসলে সেটাও আল্লাহর জন্যই হওয়া জরুরি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে অনুসরণ করে আল্লাহর সকল বিধান মেনে চলার নামই আল্লাহর ভালোবাসা। আল্লাহকে ভালবাসলে এমনভাবে ভালোবাসা উচিত যাতে করে আল্লাহর কোন নির্দেশ বা কথা শুনলে তা পালনের জন্য অস্থির হয়ে ওঠা।
এটা যদি কোন মুমিনের হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা রয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনকে ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন করা একজন মুমিনের সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থান। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীমা বলেন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুসরণ করো আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।( সূরা আল ইমরান আয়াত ,৩১ ) চলুন নিম্নে জেনে নেই আল্লাহকে ভালোবাসার আমলগুলো-
- গভীর মনোযোগ সহকারে কোরআনুল কারীম তেলাওয়াত করা এবং কুরআনের অর্থ উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করা।
- জবান অন্তর ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে সব সময় ও সকল অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার জিকির করা।
- আল্লাহর প্রতি সুন্দর নামসমূহ তার সহ্য গুণাবলী সমূহ এবং সেটার কামালিয়াত পড়ন্ত মর্যাদা ও প্রশংসনীয় ফলাফল নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।
- মন প্রাণ উজাড় করে আল্লাহর সামনে করা এবং নিজের সকল প্রয়োজন আল্লাহর কাছে তুলে ধরা।
- আল্লাহর প্রিয় বান্দা সৎ লোকদের সাথে ওঠাবসা করা এবং তাদের উপদেশ নির্দেশ মেনে কথাবার্তা বলা।
- আল্লাহর মাঝে ও বান্দার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিস থেকে দূরে থাকা।
- রাতের ষষ্ঠীতে অংশে বাকি থাকতে যখন দুনিয়ার আসমানে নজলে ইলাহির সময় হয় তখন নির্জনে আল্লাহতালার নিকট কান্নাকাটি করা দোয়া করা এবং কুরআন তেলাওয়াত করা। অর্থাৎ ক্ষম প্রার্থনা ও তওবার মাধ্যমে শেষ রাতের আমলের সমাপ্তি করা।
- প্রকাশ্য নিয়মগুলো নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা এবং বান্দার উপর তার দয়া অনুগ্রহ ও নিয়ামতগুলো গ্রহের দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করা।
- বান্দা যা ভালোবাসে এবং আল্লাহ যা ভালোবাসেন এ দুটি ভালোবাসার সংঘর্ষিক হলে আল্লাহর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেওয়া।
- ফরজ সালাত শেষে নফল ছাড়া তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য হাসিল করার চেষ্টা করা।
আল্লাহর ভালোবাসার আলামতঃ
আমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলে এবং তার দেখানো পথ নির্দেশনা অনুযায়ী ধনসম্পদ সন্তান সন্তনি এবং জন্মভূমির ভালবাসার উপর আল্লাহর গুরুত্বকে প্রাধান্য দিবে তাকে আল্লাহ ভালবাসবেন।আবার আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসবে সে অবশ্যই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুসরণ করবে এবং তার দেখানো আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যেগুলো নিষেধ করেছেন সেগুলো বর্জন করার চেষ্টা করবেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আরো বলেন-" বল যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবেসে থাকো তাহলে আমাকে অনুসরণ কর তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন আর আল্লাহ অতীত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু বল তোমরা আল্লাহর ও রাসূলের অনুগত হও কিন্তু তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে ভালবাসেন না।( সূরা আল ইমরান ৩১-৩২ )
অন্য একটা আয়াতে উঠে এসেছে" বল তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাকো তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন আল্লাহতালা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। সূরা আল ইমরানঃ ৩১ ) অন্য একটা আয়াতে উঠে এসেছে বল যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবেসে থাকো তাহলে আল্লাহকে স্মরণ করো।
তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবে এবং তোমাদের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করবেন আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। নিশ্চয় আল্লাহ কাফের ও মুনাফিকদের ভালবাসেন না।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আরও একটি আয়াতে উঠে এসেছে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসার আলামত সম্পর্কে- হে ঈমানদারগণ তোমারা কেউ যদি আল্লাহ দিন থেকে ফিরে যাও তবে আল্লাহ আরো এমন বহু বান্দা সৃষ্টি করবেন। যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে। এবং তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে।
শেষ কথাঃ আল্লাহর ভালোবাসা লাভের উপায়
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের দোয়া গুলো পাঠ করার এবং ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করার তৌফিক দান করুন। এবং প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের আর্টিকেলের মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনি কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url