সৌদি আরবের কোন ভিসার দাম কত । সৌদি আরব কোন কাজের বেতন কত
আরো পড়ুনঃ স্পেনে অধিক চাহিদাসম্পন্ন কাজ কী – স্পেনে কোন কাজের বেতন কত
২০২৫ সালে সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসা ধরন, খরচ, প্রক্রিয়া এবং গড় বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন, খরচ, বৈধতা এবং কাজের বেতনসহ সম্পূর্ণ গাইড।
হ্যাঁ, আমাদের পাঠক পাঠিকাগণ আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে, যারা সৌদি আরব ভিসার দাম ও বেতন সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এই প্রবন্ধটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এটি একটু সময় দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন।
সৌদি আরব ভিসা ও বেতন ২০২৫ – সম্পূর্ণ গাইট
সৌদি আরবের কোন ভিসার দাম কত
২০২৫ সালে এসে সৌদি আরবে ভ্রমণ, চাকরি, ব্যবসা কিংবা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে, সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, যা দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের সৌদি আরবে কাজের সুযোগ দেয়।
প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশী এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে পৌঁছান। এছাড়া, হজ ও উমরাহ ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ফ্যামিলি/ ভিজিট ভিসা রয়েছে। ভিসার খরচ মূলত ধরন, এজেন্সি ফি, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য চার্জের ওপর নির্ভর করে।
যা, সাধারণত ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সৌদি আরব সরকারি কিংবা বেসরকারি এজেন্সি ব্যবহার করে আবেদন করা যায়। তবে, ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য, প্রয়োজনীয় নথি এবং খরচ জানা থাকলে সৌদি ভ্রমণ নিরাপদ ও সহজ হয়।
সৌদি আরবের ভিসার ধরণ ২০২৫
সৌদি আরব সরকার ২০২৫ সালে সেই দেশে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরণের ভিসা প্রদান করছে। যা, মূলত ভ্রমণকারীর উদ্দেশ্য ও চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। নিচে সৌদি আরবের ভিসার ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
** ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa)- সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত হলো এই ভিসা। কারণ, এ ভিসার মাধ্যমে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকরা সৌদি আরবে চাকরি করতে পারে। বিশেষ করে, নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভার, নার্স, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ ও গৃহকর্মীদের জন্য এ ভিসার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
** বিজনেস ভিসা (Business Visa)- ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে বিজনেস ভিসা (Business Visa), যা বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক বৈঠক বা কনফারেন্সে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
** ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)- পর্যটকদের জন্য সহজলভ্য হয়েছে ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)। আগে শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও, এখন বিভিন্ন দেশের অমুসলিমরাও সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারেন।
** হজ ভিসা (Hajj Visa)- ধর্মীয় দিক থেকে রয়েছে হজ ভিসা (Hajj Visa) ও উমরাহ ভিসা (Umrah Visa)। মুসলিমদের জন্য এ দুটি ভিসা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
** স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)- যারা সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষা নিতে চান তাদের জন্য রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)। এ ভিসায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পান।
** (Family Visa) ও ভিজিট ভিসা (Visit Visa)- পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য সৌদি আরব প্রদান করছে ফ্যামিলি ভিসা (Family Visa) ও ভিজিট ভিসা (Visit Visa)।
** ডিপ্লোম্যাটিক ভিসা (Diplomatic Visa)- কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক ভিসা (Diplomatic Visa) এবং গভর্নমেন্ট ভিসা (Government Visa)।
২০২৫ সালে সৌদি আরবের ভিসা ব্যবস্থা আরও আধুনিক হয়েছে। অনলাইনে আবেদন, ই-ভিসা সিস্টেম, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন এবং দ্রুত প্রসেসিংয়ের ফলে এখন ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হয়েছে। ফলে বিদেশি কর্মী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও পর্যটকরা সহজেই সৌদি আরবে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।
সৌদি আরবের ভিসার খরচ ২০২৫
সৌদি আরব ২০২৫ সালে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নানা ধরণের ভিসা প্রদান করছে। তবে, প্রতিটি ভিসার জন্য ফি আলাদা। যেমন-
** ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa)- সবচেয়ে প্রচলিত হলো ওয়ার্ক ভিসা, যার ফি সাধারণত ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা (জা। প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ সৌদি রিয়াল)। তবে, এটির সঙ্গে মেডিকেল টেস্ট, এজেন্সি ফি ও অন্যান্য চার্জ যুক্ত হয়ে খরচ আরও বাড়তে পারে।
** হজ ভিসা (Hajj Visa)- সাধারণত এই ভিসার ফ্রি দেওয়া হয়, তবে হজ প্যাকেজের খরচের মধ্যে সব ফি অন্তর্ভুক্ত থাকে। উমরাহ ভিসা (Umrah Visa) প্রায় ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে, যা ট্রাভেল এজেন্সি, টিকেট ও হোটেল খরচের ওপর নির্ভর করে।
** ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)- বর্তমানে তুলনামূলক অনেক সস্তা, জা প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা (যা প্রায় ১০০ থেকে ১২০ সৌদি রিয়াল)। এটি অনলাইনে সহজেই করা যায় এবং একাধিকবার সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
**বিজনেস ভিসা (Business Visa)- এই ভিসা ফি সাধারণত ১৫ হাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
** স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)- এটির ফি সাধারণত ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও রেসিডেন্স পারমিট ফি আলাদাভাবে দিতে হয়।
** ফ্যামিলি ভিসা (Family Visa) ও ভিজিট ভিসা (Visit Visa)- এই ভিসার ফি সাধারণত ১০ হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে, সব ভিসার খরচ সৌদি সরকারের নিয়ম ও এজেন্সির চার্জ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তাই, আবেদন করার আগে সর্বশেষ ফি চেক করা জরুরি।
সৌদি আরব ভিসা পাওয়ার উপায় – ২০২৫
সৌদি আরবের ভিসা পেতে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে ভিসার ধরন– যেমন ওয়ার্ক ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, হজ/ উমরাহ ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা বা ফ্যামিলি/ ভিজিট ভিসা। এর পর সরকারি ও অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
তবে, অনলাইন আবেদন ব্যবস্থাও রয়েছে। সেখানে ই-ভিসা (eVisa) বা রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। এরজন্য সাধারণত দরকার হয় পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ও প্রযোজ্য হয় ভিসা ফি।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার আমন্ত্রণপত্র (Job Offer Letter) বা এজেন্সি অনুমোদন আবশ্যক। শিক্ষার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন লেটার প্রয়োজন হয়। হজ ও উমরাহ ভিসার জন্য ট্রাভেল এজেন্সির প্যাকেজ গ্রহণ করতে হয়।
প্রসেসিং সম্পন্ন হলে ভিসা স্টিকার বা ই-ভিসা ইমেইলে পাওয়া যায়। করোনা বা নিরাপত্তা বিধি অনুসারে ভ্রমণের পূর্বে স্বাস্থ্য ও ট্যুরিস্ট নিয়মাবলী যাচাই করা জরুরি। সঠিক তথ্য ও অনুমোদিত এজেন্সি ব্যবহার করলে সৌদি আরব ভিসা পাওয়া সহজ ও দ্রুত হয়।
আরো পড়ুনঃ বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – ধরণ, আবেদন, বেতন ও বিদেশি শ্রমিক তথ্য
সৌদি আরব ভিসার ধরণ ও খরচ ২০২৫
বর্তমান ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যাওয়া সম্ভব। বর্তমানে সেখানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, হজ ভিসা ও উমরাহ ভিসা। প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিক এই তিন ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে থাকেন।
পাশাপাশি টুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, বিজনেস ভিসাসহ কাজের ভিসার বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে। ভিসার দাম নির্ভর করে মূলত ভিসার ধরন, এজেন্সি ফি, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য খরচের ওপর। সাধারণত এ ভিসার দাম ৪ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
ওমরাহ ও হজ ভিসা তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা, যা প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তাই, ভিসা তৈরি করার আগে প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত সৌদি আরব ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। কারণ ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচ কম বা বেশি হতে পারে। নিচে এ সম্পর্কে আরো দেখুন-
সৌদি আরব ভিসার প্রকারভেদ ও আনুমানিক খরচ
- হজ/উমরাহ ভিসা- ১,৫০,০০০ টাকা।
- কাজের ভিসা- ৪,০০,০০০–৫,০০,০০০ টাকা।
- ভ্রমণ/টুরিস্ট ভিসা- ২,০০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা।
- রেস্টুরেন্ট কাজের ভিসা- ৪,০০,০০০–৪,৫০,০০০ টাকা।
- নির্মাণ শ্রমিক/ড্রাইভিং ভিসা- ৪,০০,০০০–৫,০০,০০০ টাকা।
বিঃদ্রঃ বে-সরকারিভাবে ভিসা তৈরি করলে খরচ আরও বেশি হতে পারে। তাই, সৌদি যাওয়ার আগে বিশ্বস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিস্তারিত পরামর্শ নেওয়া জরুরি এবং ভিসাগুলো বৈধ কিনা তাও ভালোভাবে যাচাই করা উচিত।
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা ২০২৫
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা সাধারণত কোনো সরকারি অনুমোদিত ভিসা নয়। তাই, বাংলাদেশ থেকে যারা ফ্রি ভিসা প্রদান করে, তারা প্রায়ই অবৈধ এজেন্সি। তাছাড়া, এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তারা অনেক সময় প্রতারক ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন।
যদিও, ফ্রি ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা সৌদিতে ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারেন বলে প্রচলিত থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি অবৈধ এবং সরকারি অনুমোদিত নয়। যেখানে খরচ সাধারণত ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা অন্যান্য ভিসার তুলনায় অনেক বেশি।
সৌদি আরব ভিসা পেতে প্রক্রিয়া
- ভিসার ধরন নির্বাচন করুন – যেমন, ওয়ার্ক, হজ/উমরাহ, টুরিস্ট বা অন্য।
- প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন।
- ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করুন।
- সরকারি বা বেসরকারিভাবে ভিসা ফি পরিশোধ করুন।
- কাজের জন্য জব অফার লেটার বা স্পন্সরশিপ চিঠি সংগ্রহ করুন।
- মেডিকেল রিপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করুন।
- নিজে বা এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করুন।
- সকল কার্যক্রম শেষে বিমানের টিকেট ক্রয় করুন এবং সৌদি যাওয়ার প্রস্তুতি নিন।
সৌদি আরব যেতে খরচ ২০২৫
বর্তমান ২০২৫ সালে এসে সৌদি সরকারের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ভিসা ফি ও ইকামা ফি বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া বসবাসের জন্য অনুমতি ফি ৫১.৭৫ রিয়াল, চূড়ান্ত বহির্গমনের ফি ৭০ রিয়াল এবং সর্বোচ্চ ভিসা ফি ১০৩ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে সৌদি যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া বর্তমানে ৫ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা মোট খরচ সহ সৌদি আরব যেতে ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগে। তবে, দালাল বা বে-সরকারিভাবে যেতে হলে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
সৌদি আরবের গড় বেতন ২০২৫
সৌদি আরবের গড় বেতন মূলত কর্মক্ষেত্র ও পেশার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। তবে, সাধারণত উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীদের যেমন- ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইটি বিশেষজ্ঞদের মাসিক বেতন ৮ হাজার ১৫ হাজার সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভার বা গৃহকর্মীদের বেতন তুলনামূলকভাবে কম, যা প্রায় ১,২০০ থেকে ৩,০০০ রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা)। হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খাতেও মাসিক বেতন ২ হাজার থেকে ৫ হাজার রিয়াল হতে পারে। সরকারি চাকরি ও বিশেষ পদের বেতন আরও বেশি।
সার্বিকভাবে বলা যায়, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও খাত অনুসারে সৌদি আরবে বেতন ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ও ন্যূনতম বেতন – ২০২৫
সৌদি আরবে বেতন ধরা হয় পেশা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও খাত অনুযায়ী। সাধারণ শ্রমিক বা গৃহকর্মীদের ন্যূনতম বেতন সাধারণত ১,২০০ থেকে ১,৫০০ সৌদি রিয়াল ( বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা) প্রতি মাস। নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভার বা হোটেল কাজের ক্ষেত্রে মাসিক বেতন প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,৫০০ রিয়াল হতে পারে।
উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীদের জন্য যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ বা ব্যবস্থাপক, সর্বোচ্চ বেতন ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ সৌদি রিয়াল ( বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে। সরকারি চাকরি, ব্যাংকিং ও তেল ও গ্যাস খাতের বিশেষ পদগুলোতে বেতন আরও বেশি হতে পারে, যেখানে প্রণোদনা, বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা যুক্ত হয়।
তবে, সৌদি আরবে বেতন অনেকটা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল। সাধারণ শ্রমিক থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত বেতন ব্যবধান অনেক। তাছাড়া, নতুন কর্মী বা বিদেশি শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতন নিয়মিত সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী হয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url