সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – সিঙ্গাপুর কোন কাজের বেতন কত

আরো পড়ুনঃ ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ - ডেনমার্ক কোন কাজের বেতন কত

২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা প্রসেসিং, খরচ, বেতন, চাহিদাসম্পন্ন কাজ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিস্তারিত জানুন। সরকারিভাবে ও বেসরকারিভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সম্পূর্ণ গাইড।

তাই, আপনারা যারা সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা অন্য কোন ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য আজকের প্রবন্ধটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আর্টিকেলটি সময় নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন।

সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – প্রসেসিং, খরচ, বেতন ও চাহিদাসম্পন্ন পেশা

সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম একটি উন্নত রাষ্ট্র। যা, পৃথিবীর অন্যতম একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের ভিসা নিয়ে সে দেশে যেতে আগ্রহী, তাদের সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিংসহ কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখা জরুরি।

সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া, সিঙ্গাপুর সরকার প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য দক্ষ-অদক্ষ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। কারণ। উন্নত এই দেশে বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। 

তাছাড়া, কৌশলগত এবং ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। তাই, সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং, বেতন, অধিক চাহিদা সম্পূন্ন কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সিঙ্গাপুর ভিসার ধরণ ২০২৫

২০২৫ সালে এসে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের জন্য বিদেশিদের উদ্দেশ্যভেদে সেখানে বিভিন্ন ধরণের ভিসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে, চাকরির জন্য প্রধানত তিন ধরনের ভিসা ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন-

  • Employment Pass (EP)- উচ্চ বেতন ও দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য।
  • S Pass- মধ্যম দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের জন্য, এবং
  • Work Permit- স্বল্প দক্ষতার কর্মীদের জন্য, যেমন নির্মাণ, গৃহকর্মী ইত্যাদি।
এছাড়াও-
  • শিক্ষার জন্য রয়েছে- Student Pass, যা স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে পাওয়া যায়।
  • ব্যবসা বা বিনিয়োগের জন্য আছে EntrePass, যা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়।
  • ভ্রমণের জন্য রয়েছে Tourist Visa বা Short-Term Visit Pass, সাধারণত ৩০ দিন মেয়াদি এবং
  • কনফারেন্স, চিকিৎসা বা স্বল্পমেয়াদি পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ Visit Pass দেওয়া হয়।
উপরে উল্লেখিত প্রতিটি ভিসার জন্য রয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন কিছু নির্দিষ্ট শর্ত, যোগ্যতা ও কাগজপত্র প্রয়োজন, যা সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (ICA) এর ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যায়।

সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগের সর্বশেষ খবর ২০২৫

প্রতিবছর সিঙ্গাপুর সরকার বিদেশি দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এইজন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে শ্রমিক হিসেবে উন্নত এই দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সে কারণে, নিয়মিত বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে আপডেট থাকতে হবে। 

এইজন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রাখতে হবে, যদি  সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ সার্কুলার পাবলিশ করে তখন আবেদন করতে হবে। তবে, বর্তমান সিঙ্গাপুর এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। তবে, শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে, অবশ্যই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা জরুরি। 

কারণ, সেখানকার কোম্পানি অনেক সময় স্কিল অর্জন করার পারমিশন দেয় না। তাছাড়া, বিদেশে গিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে তুলনামূলক খরচ বেশি হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ সার্কুলার সর্বশেষ আপডেট জানতে বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে আপডেট থাকুন।

সিঙ্গাপুর যাওয়ার উপায় ২০২৫

২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর আপনি সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে, আপনার সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া, প্রথমেই আপনার উদ্দেশ্য ঠিক করুন, যেমন- চাকরি, পড়াশোনা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণ। 

** যদি চাকরির জন্য যেতে চান, তবে সিঙ্গাপুরের নিয়োগদাতার কাছ থেকে জব অফার লেটার নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী Employment Pass (EP), S Pass বা Work Permit এর জন্য আবেদন করতে হবে। আর শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে Student Pass নিতে হবে। 

ব্যবসা বা বিনিয়োগের জন্য যদি যেতে চান, তাহলে EntrePass উপযুক্ত। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসা (Short-Term Visit Pass) প্রয়োজন, যা সাধারণত ৩০ দিন মেয়াদি হয়। আর ভিসার আবেদন সিঙ্গাপুর দূতাবাস বা অনুমোদিত কোন এজেন্সির মাধ্যমে করা যায়। 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে, পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ), ছবি, আবেদন ফর্ম, আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ, রিটার্ন টিকিট ও হোটেল বুকিং। ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের জন্য স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত শর্ত মেনে চলাও জরুরি। 

তবে, উচ্চ দক্ষতা ও অধিক চাহিদাসম্পন্ন পেশায় সেখানে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি, যেমন- আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, ফিন্যান্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং। সঠিক ভিসা প্রক্রিয়া অনুসরণ ও নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র থেকে প্রস্তুতি নিলে সিঙ্গাপুরে যাত্রা অনেক সহজ হয়।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে সরকারিভাবে ও বেসরকারি উভয়ভাবে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে, সিঙ্গাপুর কাজের বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। কাজের ভিসা সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোন উপায়ে প্রসেসিং করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে যারা সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাদেরকে অবশ্যই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যেম- বোয়েসেল, বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আমি প্রবাসী অ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।

কারণ, উপরোক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জব সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। আবেদনকারীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সিঙ্গাপুর কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। অতপর, কর্তৃপক্ষ বাছাই করে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মীদের বিদেশে পাঠিয়ে থাকে।

তবে, বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং করতে চাইলে, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজের ভিসা নিজে প্রসেসিং করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের কোনো কোম্পানির কাছ থেকে জবের অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।

সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কী কী লাগে?

সিঙ্গাপুর কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হয়। আর সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য, গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়। যেমন-

  • বৈধ পাসপোর্ট।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট।
  • কাজের অফার লেটার।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট।
  • পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি?

সিঙ্গাপুর দক্ষিণ এশিয়া তথা পৃথিবীর অন্যতম একটি উন্নত দেশ। এই দেশে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে, যারা কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে আগ্রহীদের তাদের অবশ্যই সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা জরুরি।

বর্তমান ২০২৫ সালে কিংবা অন্য যে কোন সময় সিঙ্গাপুরে নির্মাণ শ্রমিক, ক্লিনার, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ফুড ডেলিভারি ম্যান, ড্রাইভিং ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে, সেই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই, আপনাকে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে।

সিঙ্গাপুর কোন কাজের বেতন কত?

সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন পেশাভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। নির্মাণ শ্রমিক মাসিক প্রায় ১,২০০ থেকে ১,৮০০ SGD, রেস্টুরেন্ট কর্মীর বেতন ১,৫০০ থেকে ২,২০০ SGD, টেকনিক্যাল/ আইটি পেশাজীবী ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ SGD পর্যন্ত পান। তাছাড়া, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন বাড়ে। 

নিচে টেবিলের মাধ্যমে ২০২৫ সালের গড় বেতন উল্লেখ করা হলো-

সিঙ্গাপুর কোন কাজের বেতন কত?

ক্রঃনং

কাজের খাত/ পেশা

মাসিক গড় বেতন (SGD)

মাসিক গড় বেতন (BDT)

সামগ্রিক গড় বেতন

S$6,282

প্রায় 515,124

মধ্যম (Median) আয়

S$5,800

প্রায় 475,600

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT)

S$7,320

প্রায় 600,240

আর্থিক বীমা খাত

S$8,190

প্রায় 671,580

প্রশাসনিক সেবা

S$6,833

প্রায় 560,306

নির্মাণ খাত

S$4,500

প্রায় 369,000

স্বাস্থ্য খাত

S$5,200

প্রায় 426,400

বেতন বৃদ্ধি পূর্বাভাস (২০২৫)

% – %

কৌশলগত দক্ষতা প্রিমিয়াম

১৫% – ২৫%

সিঙ্গাপুর ওয়ারক পারমিট ভিসা কত টাকা?

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এবং ধরণ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া, প্রসেসিং মাধ্যম, ভিসার মেয়াদের উপর ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারলে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। 

এছাড়া পরিচিত কিংবা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যেতে পারলে খরচ কম হয়ে থাকে। বর্তমান সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা খরচ সাধারণত ৫ লাখ টাকা থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে, বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং খরচ বেশি হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরে কাজের সুবিধা ও জীবনযাত্রা

সিঙ্গাপুরে কাজের প্রধান সুবিধার মধ্যে রয়েছে, উচ্চ বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ ও নিরাপদ জীবনযাত্রা। কারণ, এই দেশে আধুনিক অবকাঠামো, বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা এবং কঠোর আইনশৃঙ্খলা রয়েছে, যা প্রবাসীদের জন্য জীবনকে সহজ করে তোলে। 

সেখানে কর্মীদের জন্য রয়েছে, ন্যূনতম বাৎসরিক ছুটি, স্বাস্থ্যবিমা ও ওভারটাইম কাজ করে আয়ের সুযোগ রয়েছে। সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজ করে, ফলে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। 

এছাড়াও, বার্ষিক করের হার তুলনামূলক কম এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বিস্তৃত, বিশেষ করে এটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য বেশি প্রযোজ্য হয়। ফলে, সিঙ্গাপুরে কাজ করা শুধু আর্থিক দিক থেকেই ভালো নয়, ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত লাভজনক।

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা মেনে চলা খুবই জরুরি। প্রথমত, ভিসার শর্ত ভঙ্গ করবেন না এবং নির্ধারিত মেয়াদের আগে ভিসা নবায়ন করুন। অবৈধভাবে চাকরি পরিবর্তন বা অতিরিক্ত সময় কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। 

কোনো এজেন্সি বা নিয়োগদাতার সাথে চুক্তি করার আগে তাদের লাইসেন্স ও বৈধতা যাচাই করুন। অগ্রিম বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান এড়িয়ে চলুন এবং সব লেনদেনের রসিদ সংরক্ষণ করুন। কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিধি মেনে চলুন ও আইনভঙ্গ করবেন না, কারণ সিঙ্গাপুরে আইন অত্যন্ত কঠোর।

আপনার ব্যক্তিগত সকল ব্যক্তিগত নথি, যেমন- পাসপোর্ট, কর্মসংস্থান কার্ড ও স্বাস্থ্যবিমা নথি সবসময় নিরাপদে রাখুন। সবশেষে, সরকারি বা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন, যাতে প্রতারণা ও জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।

সিঙ্গাপুরে কাজের চুক্তি ও কর্মঘন্টা

সিঙ্গাপুরে কাজের চুক্তি সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ বা স্থায়ী ভিত্তিতে হয়, যেখানে বেতন, কর্মঘন্টা, ছুটি, ওভারটাইম ও অন্যান্য সুবিধার উল্লেখ থাকে। সেখানে গড় কর্মঘন্টা সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টা, তবে কিছু ক্ষেত্রে শিফটভিত্তিক কাজও হয়ে থাকে। 

আইন অনুযায়ী সাপ্তাহিক একদিন ছুটি বাধ্যতামূলক এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা প্রদান করা হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে সব শর্ত ভালোভাবে পড়া ও বোঝা খুবই জরুরি। নিয়ম ভঙ্গ করলে ভিসা বাতিল বা জরিমানার ঝুঁকি থাকে, তাই সবসময় আইন মেনে কাজ করা উচিত।

সচারাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর FAQs

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে বিমানজোগে সিঙ্গাপুর যেতে প্রায় ২০ ঘন্টা সময় লাগে।

সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত?

সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ানদের বেতন ২০২৫ প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?

বরতমানে সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং কাজের বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত?

সিঙ্গাপুর কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুর সর্বনিম্ন বেতন কত?

সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ২,৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার। তবে, প্রবাসীদের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

শেষকথা - সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার আপডেট

২০২৫ সালে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পেতে সঠিক তথ্য, যোগ্যতা এবং নির্ভরযোগ্য প্রসেসিং মাধ্যম বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সরকারিভাবে বোয়েসেল বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ কম এবং নিরাপদ হয়। 

বেসরকারিভাবে যেতে চাইলে অবশ্যই লাইসেন্সধারী কোন এজেন্সি ব্যবহার করুন এবং অগ্রিম অর্থ প্রদানে সতর্কতা অবলম্বন করুন। উচ্চ দক্ষতা,অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত থাকলে সিঙ্গাপুরে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

আরো পড়ুনঃ পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫। পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে?

সঠিক পরিকল্পনা, যাচাই করা তথ্যসূত্র এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সিঙ্গাপুরে কাজের সুযোগ আপনার হাতের নাগালে আসবে। আরো এমন নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পেজকে ফলো করুন এবং সঙ্গে থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url