বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায় ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ ও বেতন
আরো পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ২০২৫ - বেতন, খরচ ও চাহিদাসম্পন্ন চাকরি গাইড
বাংলাদেশ থেকে ২০২৫ সালে কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়? খরচ, বেতন, কাজের ধরন, আবেদন প্রক্রিয়া ও সতর্কতা সহ পূর্ণাঙ্গ গাইড। সৌদি আরব, UAE, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, জাপান, ইউরোপ ও কানাডা নিয়ে বিস্তারিত।
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ওয়ার্ক পারমিট যাওয়া যায়? – পূর্ণাঙ্গ গাইড
ভূমিকা
বাংলাদেশ অন্যতম একটি জনবহুল দেশ। এখান থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কেউ পড়াশোনার জন্য, কেউ ভ্রমণের জন্য, আবার বেশিরভাগ মানুষ কাজের সুযোগের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
কারণ, এই ভিসার মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে চাকরি করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে বৈধভাবে বসবাস করা সম্ভব। কিন্তু, অনেকেই জানেন না, বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে সহজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়, কী কী কাগজপত্র দরকার, কত খরচ লাগে এবং কাজের পরিবেশ কেমন।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব বাংলাদেশিদের জন্য ২০২৫ সালে কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাওয়া যায়, সেই দেশের কাজের ধরন, বেতন কত, ভিসা প্রসেসিং পদ্ধতি এবং সতর্কতা নিয়ে। চলুন তাহলে আমরা নিচে দেখি-
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট যাওয়া যায়?
বর্তমানে বাংলেদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তবে, এখন বাংলাদেশি শ্রমিক কিংবা প্রফেশনালদের জন্য জনপ্রিয় যেসব দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়, তা নিচে আলোচনা করা হলো-
মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ-
- সৌদি আরব।
- সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)।
- ওমান।
- কাতার।
- কুয়েত।
- বাহরাইন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ-
- মালয়েশিয়া।
- সিঙ্গাপুর।
- দক্ষিণ কোরিয়া।
- জাপান।
- ইন্দোনেশিয়া
- ইতালি।
- গ্রিস।
- রোমানিয়া।
- পোল্যান্ড।
- হাঙ্গেরি।
- ক্রোয়েশিয়া।
- কানাডা।
- অস্ট্রেলিয়া।
- যুক্তরাজ্য (UK)।
- যুক্তরাষ্ট্র (USA – বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে)।
সৌদি আরব ওয়ার্ক পারমিট
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম বড় একটি শ্রমবাজার। এখানে মূলত নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভার, গৃহকর্মী, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায়। সেখানে গড়ে বেতন ৮০০–১৫০০ রিয়াল এবং সাধারণত থাকার-খাওয়ার ব্যবস্থা কোম্পানি থেকেই দেওয়া হয়।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, নিয়োগপত্র (কাফিলের মাধ্যমে), এম্বাসির ভিসা স্ট্যাম্প।
- কাজের পরিবেশ- সাধারণত কঠোর, তবে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা কোম্পানি বহন করে।
- খরচ- ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (চাকরির ধরনভেদে)।
- বেতন- ৮০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল থেকে শুরু।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) ওয়ার্ক পারমিট
সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশেষ করে দুবাই ও আবুধাবি বাংলাদেশিদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে নির্মাণ শ্রমিক, ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, হোটেল ও সার্ভিস সেক্টরে প্রচুর চাকরি পাওয়া যায়। বেতন গড়ে ১২০০ থেকে ২০০০ দিরহাম এবং অনেক ক্ষেত্রে থাকা-খাওয়ার সুবিধা কোম্পানি বহন করে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- বৈধ পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদনপত্র, এম্বাসির ভিসা স্ট্যাম্প।
- বিশেষ সুবিধা- UAE-তে বসবাসের সুযোগ তুলনামূলক আরামদায়ক এবং কাজের সুযোগ অনেক বেশি।
- বেতন- গড়ে ১২০০ দিরহাম থেকে–২০০০ দিরহাম।
- খরচ- প্রায় ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট
মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অন্যতম একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে মূলত প্লান্টেশন, কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস সেক্টরে চাকরির সুযোগ বেশি। বেতন গড়ে ১২০০ থেকে ২০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেহেতু ভৌগোলিকভাবে কাছাকাছি, তাই বাংলাদেশিদের জন্য যাতায়াত সহজ এবং চাহিদাও তুলনামূলক বেশি।
- খরচ- প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
- বেতন- গড় ১২০০ রিঙ্গিত থেকে ২০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত।
- কাজের ধরন- বিভিন্ন ফ্যাক্টরি, কৃষি, নির্মাণ, হোটেল সেক্টর।
- ভালো দিক- মালয়েশিয়া ভৌগোলিকভাবে কাছাকাছি, ফলে সহজে যাতায়াত করা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া (EPS প্রোগ্রাম)
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বিশেষ EPS (Employment Permit System) চালু করেছে। এখানে EPS-TOPIK ভাষা পরীক্ষার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ হয়। বেতন গড়ে ১,৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। বৈধ পরিবেশে কাজের সুযোগ, উচ্চ বেতন এবং দীর্ঘমেয়াদি চাকরির কারণে এটি বাংলাদেশিদের কাছে আকর্ষণীয়।
- খরচ- প্রায় ১ লক্ষ তাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার লাখ টাকা।
- প্রক্রিয়া- প্রার্থীকে EPS- TOPIK ভাষা পরীক্ষা পাস করতে হয়।
- বেতন- গড়ে ১,৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা (কোরিয়ান ওয়ন অনুযায়ী)।
- সুবিধা- উচ্চ বেতন, বৈধ কাজের পরিবেশ, দীর্ঘমেয়াদি চাকরির সুযোগ।
জাপান ওয়ার্ক পারমিট
জাপান ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে। এখানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেইনিং প্রোগ্রাম (TITP) ও Specified Skilled Worker (SSW) ভিসায় কাজের সুযোগ রয়েছে। মূলত কেয়ারগিভার, কৃষি, কনস্ট্রাকশন ও ফ্যাক্টরি সেক্টরে চাকরি মেলে। বেতন গড়ে ১,৫০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে মিশর ভিসা ২০২৫ - ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসার পূর্ণ গাইড
- খরচ- প্রায় ২ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
- বেতন- ১,৫০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা (ইয়েন অনুযায়ী)।
- কাজের ক্ষেত্র- কেয়ারগিভার, কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি, কৃষি।
- বিশেষ সুবিধা- জাপানে থেকে পরে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট
ইউরোপের দেশ ইতালি বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে সিজনাল ভিসায় কৃষি কাজ এবং নন-সিজনাল ভিসায় হোটেল ও কনস্ট্রাকশন সেক্টরে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এখানে মাসে গড়ে ১,২০০–১,৮০০ ইউরো বেতন পাওয়া যায় এবং কিছু বছর পর স্থায়ী হওয়ার সুযোগও থাকে।
- খরচ- ৪ লক্ষ টাকা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- বেতন- মাসে ১,২০০ ইউরো থেকে ১,৮০০ ইউরো।
- কাজের পরিবেশ- ইউরোপীয় মানসম্মত, অনেক ভালো।
- বিশেষ সুবিধা- কিছু বছর পর সেখানে স্থায়ী বসবাসের (PR) সুযোগ।
রোমানিয়া ও পোল্যান্ড
রোমানিয়া ও পোল্যান্ড সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন ইউরোপীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। এখানে মূলত কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি, কৃষি ও হসপিটালিটি সেক্টরে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। বেতন গড়ে ৫০০–৮০০ ইউরো এবং কাজের পরিবেশ ইউরোপীয় মান অনুযায়ী নিরাপদ ও নিয়মিত।
- কাজের ক্ষেত্র- কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি, কৃষি, হসপিটালিটি সেক্টর।
- বেতন- গড়ে ৫০০ ইউরো থেকে প্রায় ৮০০ ইউরো পর্যন্ত।
- খরচ- প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা।
- বিশেষ দিক- ইউরোপে প্রবেশের সাশ্রয়ী পথ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট
কানাডা বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে মূলত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসের (PR) সুযোগও রয়েছে। বেতন গড়ে ২,০০০–৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত এবং স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ খুবই মানসম্মত।
- ভিসার ধরন- LMIA Work Permit, Seasonal Agricultural Worker Program (SAWP)।
- বেতন- ২,০০০ কানাডিয়ান ডলার থেকে ৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার।
- সুবিধা- পরবর্তীতে পরিবারসহ স্থায়ী হওয়ার সুযোগ।
যুক্তরাজ্য (UK)
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিরা প্রধানত হেলথ কেয়ার, নার্সিং, রেস্টুরেন্ট ও IT সেক্টরে কাজ পান। Skilled Worker Visa-এর মাধ্যমে কাজ করা যায়। বেতন গড়ে ১,৮০০–২,৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত। ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ এবং স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- ভিসার ধরন- Skilled Worker Visa।
- বেতন- ১,৮০০ থেকে ২,৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত।
- খরচ- তুলনামূলক বেশি (৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত)।
- সুবিধা- পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ এবং স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা।
কুয়েত, কাতার ও ওমান
কুয়েত, কাতার ও ওমানেও বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার খোলা রয়েছে। মূলত নির্মাণ, ড্রাইভার, সিকিউরিটি ও গৃহকর্মী হিসেবে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। মাসিক বেতন ১০০–২০০ কুয়েতি দিনার বা কাতারি রিয়াল পর্যন্ত হয়। বেতন এবং থাকার-খাওয়ার সুবিধা কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা সরবরাহ করে।
- কাজের ক্ষেত্র- কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভার, সিকিউরিটি, গৃহকর্মী।
- বেতন- মাসে ১০০–২০০ কুয়েতি দিনার বা কাতারি রিয়াল।
- খরচ- ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
- সুবিধা- নিকটবর্তী হওয়ার কারণে যাতায়াত সহজতর।
বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট আবেদন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। কারণ, পাসপোর্ট ছাড়া কোন ভিসা আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর একজন বৈধ বিদেশি নিয়োগকর্তা বা BMET-রেজিস্টার্ড রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে চাকরির নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
আর এই নিয়োগপত্র ছাড়া দূতাবাস সাধারণত কোন প্রকার আবেদন গ্রহণ করে না। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপ হলো প্রার্থীর মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করে যে, আবেদনকারী বিদেশে কাজের উপযুক্ত।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেখায় যে, আবেদনকারীর কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস নেই। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ভিসা অনুমোদন পেলে বিমান টিকিট কেটে যাত্রা করা যায়। সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে ধাপ অনুসরণ করলে বিদেশে বৈধ ও নিরাপদভাবে কাজের সুযোগ পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিটের খরচ
- মধ্যপ্রাচ্যের দেশ- ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- মালয়েশিয়া/ সিঙ্গাপুর- ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- দক্ষিণ কোরিয়া/জাপান- ২ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- কানাডা/UK- ৫ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- ইউরোপ- ৩ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
সতর্কতা
- ভিসার সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করুন।
- চুক্তি পত্রে উল্লেখিত বেতন ও সুবিধা নিশ্চিত করুন।
- প্রতারক দালালের মাধ্যমে ভিসা করার চেষ্টা করবেন না।
- শুধুমাত্র BMET রেজিস্টার্ড এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন।
শেষকথা- বাংলাদেশিদের জন্য জনপ্রিয় ওয়ার্ক পারমিট দেশসমূহ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ কাজের সন্ধানে বিদেশে যাচ্ছেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। সৌদি আরব, UAE, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, জাপান, ইতালি, রোমানিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অসংখ্য দেশে বর্তমানে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পড়ুনঃ সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫- আবেদন, বেতন, খরচ ও চাহিদাসম্পন্ন চাকরি গাইড
তবে, সবসময় সতর্ক থেকে বৈধ পথে গেলে বিদেশে স্থায়ীভাবে কাজ ও বসবাস করা সম্ভব। যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে যোগ্যতা অর্জন করেন, তাহলে বিদেশে কাজ করে নিজের জীবন বদলানো যেমন সম্ভব, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url