তুরস্ক ভিসার দাম ২০২৫
২০২৫ সালে তুরস্ক ভ্রমণ, কাজ, শিক্ষা বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে যেতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট ভিসার জন্য ফি পরিশোধ করতে হবে। এই ফি সাধারণত ভিসার ধরণ, মেয়াদ এবং নাগরিকত্বের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
ওয়ার্ক ভিসা ও পারমিট
তুরস্কে যে কাউকে চাকরি করার জন্য প্রার্থীর ওয়ার্ক ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট থাকা আবশ্যক। ওয়ার্ক ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট অন্যান্য ভিসার তুলনায় ফি কিছুটা বেশি তাছাড়া, এটি অনেকটা মেয়াদের উপর নির্ভর করে। যেমন-
- ১ বছরের পারমিট- প্রায় 10,571.60 TL + 810 TL কার্ড ফি।
- ২ বছরের পারমিট- প্রায় 21,143.20 TL + 810 TL কার্ড ফি।
- স্থায়ী পারমিট- প্রায় 105,760.60 TL + 810 TL কার্ড ফি।
ট্যুরিস্ট ও ব্যবসায়িক ভিসা
তুরস্কে স্বল্পমেয়াদের জন্য ভ্রমণ, ব্যবসায়িক সফর কিংবা পরিবারের সদস্যদের দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিসা হলো স্টিকার ভিসা। এর দাম সাধারণত নিম্নরূপ হয়ে থাকে। যেমন-
- একক প্রবেশ (Single Entry) ভিসা: প্রায় €55।
- দ্বৈত প্রবেশ (Double Entry) ভিসা: প্রায় €110।
- বহু প্রবেশ (Multiple Entry) ভিসা: প্রায় €180।
তবে, কিছু কিছু দেশের জন্য এই ফি আরও বেশি হতে পারে।
ই-ভিসা
তুরস্কের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে সহজে করা যায় ই-ভিসা। এই ভিসার দাম দেশের উপর নির্ভরশীল। তবে, সাধারণত €14 থেকে €71 পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কিছু দেশের জন্য ই-ভিসা একেবারেই বিনামূল্যে।
ট্রানজিট ভিসা
কেউ যদি অন্য দেশে যাওয়ার পথে, তাকে তুরস্কে ট্রানজিট করতে হয়, তাহলে ট্রানজিট ভিসা প্রয়োজন হতে পারে। এর ফি সাধারণত নিম্নরূপ-
- একক ট্রানজিট- প্রায় 5,476.80 TL
- দ্বৈত ট্রানজিট- প্রায় 10,989.10 TL
স্টুডেন্ট ভিসা
তুরুস্কে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূলত ট্যুরিস্ট ভিসার মতোই স্টিকার ভিসা সিস্টেমের আওতায় পড়ে। এর ফি সাধারণত €55 থেকে €180 এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেসিডেন্স পারমিট ফি আলাদা দিতে হয়।
বিশেষ উদ্দেশ্য ও পারিবারিক ভিসা
গবেষণা, চিকিৎসা, পরিবার পুনর্মিলন কিংবা অন্যান্য কোন বিশেষ কারণে দেওয়া ভিসার ফিও সাধারণত স্টিকার ভিসার মতোই থাকে এবং ফি সাধারণত €55–€180।
সংক্ষেপে বলা যায়, তুরস্ক ভিসার দাম ২০২৫ সালে গড়ে €14 থেকে শুরু করে €180 পর্যন্ত হতে পারে। স্বল্পমেয়াদী ভিসার জন্য, আর ওয়ার্ক পারমিট বা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার খরচ 10,000 TL থেকে শুরু করে এক লক্ষ TL এরও বেশি হতে পারে।
তাই, তুরুস্ক ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই, নিজের নাগরিকত্ব অনুযায়ী সঠিক ফি সরকারি ওয়েবসাইট বা দূতাবাস থেকে যাচাই করা উচিত।
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালে তুরস্কে বৈধভাবে চাকরি করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অপরিহার্য। আর এই ভিসাটি সাধারণত নিয়োগকর্তার স্পনসরশিপের মাধ্যমে ইস্যু করা হয় এবং বিদেশি কর্মীদের জন্য তুরস্কে থাকার এবং কাজ করার বৈধ সুযোগ নিশ্চিত করে থাকে।
এই ভিসার আবেদন করার জন্য প্রথমেই চাকরির প্রস্তাব (Job Offer Letter) পাওয়ার প্রয়োজন হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে সরকারি BOESL কিংবা অনুমোদিত কোন বেসরকারি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
তুরুস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে থাকে, বৈধ পাসপোর্ট, চাকরির চুক্তি, শিক্ষা ও দক্ষতার সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং হেলথ ইনস্যুরেন্স। এই ভিসার ফি সাধারণত এক বছরের জন্য 10,571 TL, দুই বছরের জন্য 21,143 TL এবং স্থায়ী পারমিটের জন্য 105,760 TL এর বেশি হতে পারে, সাথে 810 TL কার্ড ফি যোগ হয়।
সকল প্রকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কর্মীর জন্য বৈধ অনুমোদন জারি হয় এবং সে অনুযায়ী তুরস্কে কাজ ও বাস করার সুযোগ পাওয়া যায়। এটি হলো বিদেশিদের জন্য নিরাপদ ও বৈধ উপায়ে তুরস্কে পেশাগত জীবন শুরু করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে (২০২৫)
তুরস্ক প্রবেশের জন্য মোট খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন, টিকিট, থাকার জায়গা এবং ব্যক্তিগত খরচের উপর। প্রথমেই ভিসা ফি দিতে হবে। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য
** ই-ভিসা ফি- সাধারণত €20–€60 (প্রায় ২,৫০০–৭,০০০ টাকা) এর মধ্যে। যদি স্টিকার ভিসা লাগে তবে একক প্রবেশ ভিসার ফি প্রায় €55 (৬,৫০০ টাকা), আর বহু প্রবেশ ভিসার জন্য €180 (২১,০০০ টাকা পর্যন্ত) খরচ হতে পারে।
** বিমান ভাড়া- এটি অন্যতম বড় খরচ। কারণ, ঢাকা থেকে ইস্তানবুলের রিটার্ন টিকিট সাধারণত ৳৬০,০০০ থেকে ৳৯০,০০০- এর মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, মৌসুম ও এয়ারলাইন্স ভেদে এটি কম-বেশি হতে পারে।
** থাকার খরচ- যা হোটেল বা গেস্ট হাউসের মান অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। সাধারণ বাজেট হোটেলে প্রতিরাতের খরচ ৳৩,০০০–৳৫,০০০, মাঝারি মানের হোটেলে ৳৬,০০০–৳১০,০০০, আর লাক্সারি হোটেলে আরও বেশি।
এছাড়াও, খাবার, যাতায়াত ও ঘোরাঘুরির জন্য প্রতিদিন আপনার গড়ে ৳৩,০০০–৳৫,০০০ পর্যন্ত খরচ ধরা যজন
সবকিছু মিলিয়ে, ৭ দিনের একটি ভ্রমণের জন্য একজন বাংলাদেশির আনুমানিক খরচ দাঁড়াতে পারে ৳১,২০,০০০ থেকে ৳১,৫০,০০০ পর্যন্ত।
তুরস্কে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন টপ ১০ পেশা (২০২৫)
তুরুস্ক বিশ্বের অন্যতম একটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার কারণে, সেখানে বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকদের প্রচুর পরিমাণে চাকুরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৫ সালে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ১০টি পেশা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
** নির্মাণ শ্রমিক (Construction Workers)- তুরস্কে বড় বড় অবকাঠামো ও ভবন নির্মাণের কারণে, সেখানে কন্সট্রাকশন সেক্টরে শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যেখানে অদক্ষ থেকে শুরু করে দক্ষ মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি এমনকি কাঠমিস্ত্রি সবাই কাজ পান।
আরো পড়ুনঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ, বেতন ও চাকরি গাইড
** স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্স (Nurses & Caregivers)- সেখানে থাকা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বৃদ্ধাশ্রমে বিদেশি নার্স ও কেয়ারগিভারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত বয়স্কদের যত্নের জন্য, কেয়ারগিভার নিয়োগ অনেক বেশি হয়।
** হোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্টাফ (Hospitality Workers)- ট্যুরিজম সেক্টরের জন্য যেমন- হোটেল রিসেপশনিস্ট, ওয়েটার, শেফ, কিচেন হেল্পার ও হাউসকিপিং কর্মীর চাহিদা সবসময় স্থায়ী হয়ে থাকে।
** কৃষি শ্রমিক (Seasonal Agricultural Workers)- ফল, সবজি, আঙুরক্ষেত এবং তুলা চাষের জন্য মৌসুমি শ্রমিকের চাহিদা প্রচুর। অনেক বিদেশিরা অস্থায়ীভাবে এ কাজগুলো করে আয় করে।
** আইটি বিশেষজ্ঞ (IT Specialists)- ওয়েব ডেভেলপার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা অ্যানালিস্ট ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের জন্য তুরস্কে চাকরির বাজার খুব দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে।
** ফ্যাক্টরি ও ম্যানুফ্যাকচারিং কর্মী- গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক্স এবং গাড়ি উৎপাদন কারখানায় শ্রমিক ও টেকনিক্যাল স্টাফদের চাহিদা ব্যাপক।
** ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান- ইলেকট্রিক, প্লাম্বিং, মেরামত ও মেইনটেন্যান্স কাজে দক্ষ লোকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
** ড্রাইভার ও ডেলিভারি কর্মী- পণ্য পরিবহন ও অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের জন্য ট্রাক/ ট্যাক্সি ড্রাইভার ও রাইডারদের চাহিদা বেশি।
** শিক্ষক ও টিউটর- ইংরেজি ও অন্যান্য বিদেশি ভাষা শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকও দরকার হয়।
** ক্লিনিং ও ডোমেস্টিক হেল্পার- অফিস, হোটেল, হাসপাতাল ও বাসা-বাড়িতে ক্লিনিং স্টাফ ও হাউসকিপারের কাজও বিদেশিরা করতে পারে।
তুরস্কে চাহিদাসম্পন্ন টপ ১০ পেশার গড় মাসিক বেতন ২০২৫
তুরুস্কতে ২০২৫ সালে বিভিন্ন খাতে কাজের ধরণ অনুজায়ী বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাছাড়াও, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে মাসিক আয়ের পার্থক্য দেখা যায়। নিচে তুরুস্কের বিভিন্ন কাজের গড় বেতন টেবিল আকারে দেওয়া হলো-
তুরস্কে চাহিদাসম্পন্ন টপ ১০ পেশার গড় মাসিক বেতন ২০২৫ |
ক্রঃনং | পেশার নাম | গড় মাসিক বেতন (TL) | গড় মাসিক বেতন (USD) | মন্তব্য |
১ | নির্মাণ শ্রমিক (Construction Worker) | 15,000 – 22,000 TL | $500 – $730 | অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে |
২ | নার্স ও কেয়ারগিভার (Nurse & Caregiver) | 20,000 – 30,000 TL | $660 – $1,000 | হাসপাতালে কাজ হলে বেতন বেশি |
৩ | হোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্টাফ | 14,000 – 20,000 TL | $460 – $670 | টিপস আলাদা আয়ের উৎস |
৪ | কৃষি শ্রমিক (Seasonal Worker) | 12,000 – 18,000 TL | $400 – $600 | মৌসুমি, সাধারণত ৩–৬ মাসের জন্য |
৫ | আইটি বিশেষজ্ঞ (IT Specialist) | 35,000 – 60,000 TL | $1,150 – $2,000 | দক্ষতার উপর নির্ভর করে |
৬ | ফ্যাক্টরি ও ম্যানুফ্যাকচারিং কর্মী | 15,000 – 25,000 TL | $500 – $830 | গার্মেন্টস/ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে চাহিদা বেশি |
৭ | ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান | 18,000 – 28,000 TL | $600 – $930 | সার্টিফিকেট থাকলে বেতন বাড়ে |
৮ | ড্রাইভার ও ডেলিভারি কর্মী | 16,000 – 24,000 TL | $530 – $800 | ওভারটাইম ও বোনাস পাওয়া যায় |
৯ | শিক্ষক ও টিউটর (English/Foreign Language) | 22,000 – 35,000 TL | $730 – $1,160 | বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন বেশি |
১০ | ক্লিনিং ও ডোমেস্টিক হেল্পার | 12,000 – 17,000 TL | $400 – $570 | সাধারণ কাজ, তবে স্থায়ী সুযোগ রয়েছে |
উপরের আলোচনা থেকে সংক্ষেপে বলা যায়, তুরস্কে অদক্ষ শ্রমিকের গড় আয় $400–$700, আর দক্ষ বা প্রফেশনাল চাকরির গড় আয় $1,000–$2,000 পর্যন্ত হতে পারে।
তুরস্ক যাওয়ার উপায় (সরকারি/বেসরকারি) – ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যাওয়ার প্রধানত দুটি বৈধ উপায় রয়েছে, সরকারি (BMET/BOESL) এবং বেসরকারি (Recruiting Agency/ব্যক্তিগত আবেদন)। নিচে এই দুই বিসয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
সরকারি উপায় (BOESL / প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়)
বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান BOESL (Bangladesh Overseas Employment and Services Limited) এর মাধ্যমে নিরাপদে তুরস্কে যাওয়া যায়। এই বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- BOESL সরকারি চুক্তির ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠায়।
- এখানে খরচ তুলনামূলক কম, সাধারণত ৳১–২ লাখ এর মধ্যে।
- ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, টিকিট ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সরকারিভাবে নিশ্চিত হয়।
- শ্রমিকদের প্রতারণার ঝুঁকি নেই এবং চুক্তি অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।
- তবে সুযোগ সীমিত এবং নির্দিষ্ট সময়েই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বেসরকারি উপায় (রেক্রুটিং এজেন্সি / ব্যক্তিগত আবেদন)
- বাংলাদেশে অনেক অনুমোদিত Recruiting Agency তুরস্কে শ্রমিক পাঠায়।
- এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, সাধারণত ৳৩–৫ লাখ পর্যন্ত।
- কাজের ধরণ অনুযায়ী এজেন্সি টিকিট, ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করে।
- এখানে প্রতারণার ঝুঁকি থাকে, তাই অবশ্যই BMET অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিতে হবে।
- দক্ষ কর্মীরা চাইলে সরাসরি অনলাইনে তুরস্কের জব পোর্টাল বা কোম্পানিতে আবেদন করেও চাকরি নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
আমরা সংক্ষেপে বলতে পারি নিরাপদ ও কম খরচে যেতে চাইলে সরকারি BOESL হলো সেরা উপায়। আর দ্রুত ও বিভিন্ন সেক্টরে বেশি সুযোগ চাইলে অনুমোদিত বেসরকারি এজেন্সি ব্যবহার করা যায়।
তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া (২০২৫)
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভ্রমণ, কাজ বা পড়াশোনার জন্য ভিসা নিতে হলে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নিচে এই সম্পর্কে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলো-
** ভিসার ধরন নির্ধারণ- প্রথমে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার ধরন ঠিক করতে হবে। যেমন-
- ট্যুরিস্ট/বিজনেস ভিসা।
- ওয়ার্ক ভিসা (Work Permit Visa)।
- স্টুডেন্ট ভিসা।
- ট্রানজিট ভিসা।
- ফ্যামিলি/রিসার্চ ভিসা।
** অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ- তুরস্কের সরকারি ওয়েবসাইটে (www.visa.gov.tr/ www.evisa.gov.tr) অনলাইন আবেদন করতে হয়। যেমন-
- ফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও পাসপোর্ট তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
** প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ- সাধারণত এরজন্য প্রয়োজন পড়ে-
- বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)।
- ভিসা আবেদন ফর্ম ও ছবি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ৩–৬ মাসের)।
- রিটার্ন এয়ার টিকিট বুকিং।
- হোটেল বুকিং বা থাকার ঠিকানা।
- ভ্রমণ বিমা (Travel Insurance)।
- ওয়ার্ক/স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্র ও চাকরির/ভর্তির প্রমাণপত্র।
** দূতাবাস/ভিসা সেন্টারে জমা-
- অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আঙ্কারার দূতাবাস বা অনুমোদিত ভিসা সেন্টারে কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
- বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) দেওয়া বাধ্যতামূলক।
** ভিসা ফি পরিশোধ-
- ভিসার ধরন অনুযায়ী €55 থেকে €180 পর্যন্ত ফি দিতে হয়।
- ই-ভিসার ক্ষেত্রে অনলাইনে সরাসরি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যায়।
** প্রসেসিং টাইম-
- সাধারণ ট্যুরিস্ট ও ই-ভিসা- ৫–১০ কার্যদিবস।
- স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক ভিসা- ১৫–৩০ কার্যদিবস (কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে সময় বেশি লাগে)।
** ভিসা অনুমোদন ও সংগ্রহ-
- অনুমোদনের পর দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হয় অথবা অনলাইনে ই-ভিসা ডাউনলোড করা যায়।
উপরের আলোচনা থেকে সংক্ষেপে বলা যায়, তুরস্ক ভিসার প্রসেসিং প্রক্রিয়া মূলত অনলাইন আবেদন, কাগজপত্র জমা, বায়োমেট্রিক, ফি পরিশোধ এবং অনুমোদন–এই ধাপগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে শেষ হয়।
শেষকথা- তুরুস্ক ভিসা তথ্য ২০২৫
২০২৫ সালে তুরস্ক বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ, পড়াশোনা বা পেশাগত সুযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য। ভিসার ধরন, ফি, প্রসেসিং ও নিরাপদ যাত্রার নিয়ম জানা থাকলে যাত্রা সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ – যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ
তুরস্কে ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ও ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বৈধভাবে কাজ/ শিক্ষা অর্জন সম্ভব। সরকারি বা অনুমোদিত বেসরকারি এজেন্সি ব্যবহার করে নিরাপদভাবে যেতে পারেন। এছাড়া, বিভিন্ন খাতের চাহিদাসম্পন্ন পেশা ও গড় বেতন জেনে পরিকল্পনা করলে জীবনমান ও আয়ের সুযোগও বাড়ে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url